তুমব্রু নো ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গারা জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধে

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত এলাকার নোম্যান্সল্যান্ডে আশ্রিত মিয়ানমার ফেরত রোহিঙ্গারা মাদকপাচারসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। বেপরোয়া এসব রোহিঙ্গাদের কারণে যেমন বাংলাদেশী নাগরিকরা অতিষ্ট, তেমনি স্বজাতি রোহিঙ্গারাও জিম্মী হয়ে পড়েছে দুষ্কৃতিকারী রোহিঙ্গাদের কাছে।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে তুমব্রু সীমান্তে অন্তত ৮হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে আশ্রয় নিলেও এখন এই সীমান্তে রয়েছে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা। দেশি-বিদেশি নানা এনজিওর সাহায্য-সহযোগিতা ভোগ করে বেশ ভালো জীবনযাপন করছে নোম্যান্সল্যান্ডে আশ্রিত রোহিঙ্গারা।

কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, তারা কোণারপাড়া এলাকার পরিবেশের সঙ্গে বর্তমানে অনেকটা মানিয়ে নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে কেউ কেউ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে তা স্বীকার করলেও নোম্যান্সল্যান্ডে এর সংখ্যা খুব কম। এদিকে সম্প্রতি সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমার সেনারা অবস্থান নেওয়ায় তাদের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

ঘুমধুমের একাধিক জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুধু তুমব্রু সীমান্তে আশ্রিত রোহিঙ্গারা নয়, বিভিন্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার রোহিঙ্গারাও দীর্ঘদিন যাবত মাদকপাচার, অপহরণ ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।

ঘুমধুমের স্থানীয় সংবাদকর্মী নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, বিভিন্ন সময়ে আসা রোহিঙ্গারা কৌশলে স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে গিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করছে। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে ভোটার হয়ে এলাকায় প্রভাবও বিস্তার করছে।

রোহিঙ্গাদের অপরাধে জড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তারা এতটাই উগ্র যে, কেউ তাদের সঙ্গে ভালো করে কথাও বলতে পারে না। তাদের এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত।

নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, প্রশাসন তাদের প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে যাচ্ছে এ এসব রোহিঙ্গারা যাতে কোনভাবে এলাকায় মিশে অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হতে না পারে সেজন্য প্রশাসন সজাগ রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন