তুরস্কের তিন মাসের কম সময়ের দ্বিতীয়বারের মতো ৬ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

fec-image

তিন মাসের কম সময়ের তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যার ফলে কমপক্ষে তিনটি ভবন ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে গিয়ে ২২ জন আহত হয়েছেন। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। খবর দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের।

তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে সিনদিরগি শহরে দ্বিতীয়বারের মতো ভূমিকম্প হলো। ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি আফটারশক অনুভূত হয়। এসব আফটারশকে দেশটির ইস্তাম্বুল এবং নিকটবর্তী বুরসা, মানিসা এবং ইজমির প্রদেশে কম্পন অনুভূত হয়।

প্রাথমিকভাবে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি, তবে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ধসে পড়া ভবনগুলোর মধ্যে অন্তত তিনটি আবাসিক ভবন ও একটি দুইতলা দোকান রয়েছে।

বালিকেসিরের গভর্নর ইসমাইল উস্তাওগলু জানান, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে গিয়ে ২২ জন আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের পর অনেক মানুষ ঘরে ফিরতে ভয় পাচ্ছিলেন।

তুরস্কের জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ভূমিকম্পটি হয়। দেশটির অর্থনৈতিক রাজধানী ইস্তাম্বুল ও পর্যটন শহর ইজমিরেও কম্পন অনুভূত হয়।

ভূমিকম্পের পর তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া বলেছেন, ‘ভূমিকম্পের পর তিনটি ভবন ও একটি দোকান থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নেয়া হয়। পরে সেগুলো ধসে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।’

এর আগে গত ১০ আগস্ট একই মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয় সিনদিরগি শহরে। শহরটির অবস্থান তুরস্কের পাহাড়ি অঞ্চলে। ইজমির শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৩৮ কিলোমিটার।

তুরস্ক ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পড়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। নিহত হন অন্তত ৫৩ হাজার মানুষ। এতে রাজধানী আঙ্কারার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক, ভূমিকম্প
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন