পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের যুগে তুরস্ক

fec-image

আজ প্রথমবারের মতো আকাশে উড়বে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান’। নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়ে এ বিমান দেশেই নির্মাণ করেছে তুরস্ক। এর মধ্য দিয়ে তুরস্ক পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানধারী দেশের তালিকায় প্রবেশ করছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও বিমান খাত এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত এটি।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ডেইলি সাবাহ এ খবর জানায়। তুরস্কের ইতিহাসে এ যুদ্ধবিমান নির্মাণের প্রকল্প ছিল অন্যতম ব্যয়বহুল। ‘কান’ তৈরি করেছে টার্কিশ এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (টিএআই)। আসলে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিকল্প হিসেবে এটি তৈরি করা হয়েছে। ২০৩০ সালের দিকে বন্ধ হয়ে যাবে এফ-১৬ বিমানের উৎপাদন।

গত ১৭ মার্চ টিএ-এক্স ন্যাশনাল কমবেট এয়ারক্রাফটটিকে প্রথমবারের মতো রানওয়েতে নামানো হয়। ১ মে রাজধানী আঙ্কারায় টিএআই সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট রিসেফ তায়েপ এরদোয়ান এর আনুষ্ঠানিক নাম দেন ‘কান’। গত কয়েক মাসে আকাশে ওড়ার জন্য যুদ্ধবিমানটিকে পুরোপুরি প্রস্তুত করেন প্রকৌশলীরা। তবে এরই মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে এর সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন হয়েছে।

৬৯ ফুট দীর্ঘ যুদ্ধবিমানটি শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে উড়তে সক্ষম। দুই ইঞ্জিনের এ বিমান ঘণ্টায় ২ হাজার ২২২ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে। পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানে যা যা থাকা প্রয়োজন, কানের মধ্যে তার সবই আছে। এটা বিমান থেকে বিমানে এবং বিমান থেকে স্থলভাগের অংশে হামলা চালাতে সক্ষম।

ন্যাটোর সদস্য তুরস্ক ছাড়া এ ধরনের যুদ্ধবিমান খুব বেশি দেশের কাছে নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার কাছে এসব বিমান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ বিমানের নাম লকহেড মার্টি এফ-২২ র‌্যাপটর। বিমানের কয়েকটি সংস্করণ তাদের রয়েছে। সর্বশেষ ২০২৫ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা বহরে যুক্ত হয় লকহেড মার্টি এফ-৩৫ লাইটনিং। চীনে এ যুদ্ধবিমানের নাম চেংদু জে-২০ এবং রাশিয়ায় সুখই সু-৫৭। নাম ভিন্ন ভিন্ন হলেও এগুলোর মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্য সাধারণ, যে কারণে এদের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বলা হচ্ছে। এসব বিমান এতটাই দ্রুতগামী যে, অধিকাংশ সময় এগুলো শত্রুপক্ষের রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক, পঞ্চম প্রজন্ম, যুদ্ধবিমান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন