তেঁতুলিয়া থেকে পায়ে হেঁটে টেকনাফে পৌঁছেন এক যুবক

fec-image

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর চাই’ এ শ্লোগানে ১০০৪ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে টেকনাফে পৌঁছলেন এক যুবক। সে বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর থানার রাধানগর এলাকার মোকছেদ আলীর পুত্র মিজানুর রহমান।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা থেকে হেঁটে রওয়ানা দিয়ে গত ১৯ মার্চ টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপে পৌঁছেন। এরমধ্যে বিভিন্ন জেলায় ধাপে ধাপে ৮ দিন বিশ্রাম নিয়ে পুনরায় হাঁটা শুরু করেন। মোট ১৯ দিন হেঁটে সে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপে পৌঁছেন। এর মধ্যে টানা ২৪ ঘন্টাও হাঁটছিলেন দুইবার। চলতে হয়েছে চৌদ্দটি জেলার উপর দিয়ে।

মিজান জানান, স্ব-প্রণোদিত হয়ে, ‘ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর চাই’ এই শ্লোগানে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা থেকে হাঁটা শুরু করেন। দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করার ইচ্ছে থেকেই পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ভ্রমণ অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যে বের হন। এসময় দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

তিনি আরো জানান, এই উনিশ দিনে দিনাজপুর ও কুমিল্লা জেলায় টানা ২৪ ঘন্টা রাত-দিন না ঘুমিয়ে হাঁটেন। অন্যান্য দিন গড়ে ৪৫-৫০ কিলোমিটার হেঁটেছেন। বিভিন্ন জেলায় পরিচিত ও বন্ধুদের বাসায় রাতযাপন করেছে। খাবার বেশির ভাগ হোটেলে খাওয়া হয়েছে।
পায়ে হেঁটে ভ্রমণকালীন স্লোগান হিসেবে ছিল ‘ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর চাই, কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করি বেকারত্ব দূর করি, রক্ত দান করুন অন্যের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করুন’।

এসময় বগুড়া জেলা প্রশাসক ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আগামী শীতে পায়ে হেঁটে ৬৪ জেলায় যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। এছাড়াও জীবনে সবচেয়ে বড় আশা পায়ে হেঁটে বাংলাদেশ থেকে হজ্বে যাওয়া। চলার পথে যারা সাহস ও ভালোবাসা দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন