নিজ শহরে দাফনের অনুমতি মেলেনি মোহাম্মদ মুরসির

fec-image

সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে মঙ্গলবার ভোরে কঠোর গোপনীয়তায় রাজধানী কায়রোতে দাফন করা হয়েছে। এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে সারকিয়া প্রদেশের নিজ শহরে তার দাফনের আবেদন জানালে তা নাকচ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে কায়রোর নসর এলাকায় গোপনীয় ওই দাফনে মুরসির পরিবারের সদস্যদের উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয়া হয়। মুরসির ছেলে আহমেদ মুরসি এবং তার আইজীবীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কারা হাসপাতালে বাবাকে গোসল করিয়ে দেন পুত্র আহমেদ মুরসি। এরপর কারা হাসপাতালে জানাজা শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত হন মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া খবরে বলা হচ্ছে, মুরসির ভাই, স্ত্রী, পুত্র এবং দু’জন আইনজীবী তার জানাজায় অংশ নেন। তবে আনাদোলু এজেন্সির পক্ষ থেকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

১৭ জুন মিসরের একটি আদালতের এজলাসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মোহাম্মদ মুরসি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ‘আদালতের এজলাসে হঠাৎ পড়ে গিয়ে’ তার মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ মে তিনি আদালতে বলেছিলেন, তার জীবন হুমকির মুখে।

এদিকে মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। সোমবার ইস্তানবুল থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি বলেন, জালিমের কারাগারে শহীদ হয়েছেন মুরসি। কারাগারে নিক্ষেপ করে যারা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে সেই জালিমদের ইতিহাস কখনও ক্ষমা করবে না।

এরদোয়ান বলেন, আমাদের চোখে মুরসি একজন শহীদ; যিনি তার বিশ্বাসের জন্য জীবন দিয়েছেন। ইতিহাস সেই একনায়ককে (জেনারেল সিসি) ক্ষমা করবে না, যে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে নির্যাতন করেছে এবং মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার যাবতীয় চক্রান্ত করা হয়েছিল। আদালতে নিজের ওপর জুলুমের প্রতিবাদ করেছেন তিনি। মিসরের জনগণ ও নিজের ওপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর মুরসির এ মৃত্যু জুলুমের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন