Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে খাগড়াছড়ি জেলাবাসীর আরো ১ মাস লাগবে

লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খাগড়াছড়ি জেলার সব’কটি উপজেলায় গত কয়েকদিনের বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে অসহনীয় হয়ে পড়েছে গ্রাহকরা। কবে নাগাদ এ ভোগান্তি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে তারও কোন সঠিক সময় বলতে পারছেনা খাগড়াছড়ির বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ। তবে মাস খানেক সময় লাগতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা দিয়েছে তারা। এ দিকে সামনে পিএসসি, জেএসসি ও বার্ষিক পরীক্ষা। অভিভাবকদের ঘুম হারাম কিভাবে সন্ধ্যায় লেখাপড়ায় বসবে ছেলে-মেয়েরা। এ নিয়ে বিভিন্ন চা দোকান থেকে শুরু করে পাড়া পল্লীতে চলছে মুখরোচক গল্প।

খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগের পানছড়ি উপজেলার দায়িত্বে থাকা আরই. আলাউদ্দিন সোহাগের সাথে বিদ্যুতের বেহাল দশার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, হাটহাজারী গ্রীডের ২টি ট্রান্সফরমার থেকে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির ১২টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে। যার ধারণ ক্ষমতা ছিল ২২ থেকে ২৫ মেগাওয়াট। বর্তমানে একটি ট্রান্সফরমার পুড়ে বিকল অবস্থায় আছে তাই ১২টি উপজেলায় ২২-২৫ মেগাওয়াটের পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে ৭ থেকে ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম যার মানে তিন ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম। নতুন ট্রান্সফরমারের চাহিদা দেয়া হয়েছে যা নতুনভাবে তা এনে বসাতে আনুমানিক প্রায় মাসখানেক সময় লাগতে পারে। তবে লোড শেডিংয়ের মাধ্যমে উপজেলাগুলোতে বর্তমানে ২ঘন্টা পর পর সরবরাহ দেয়া হচ্ছে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রাহকদের সাথে আলাপকালে তারা এ প্রতিবেদককে জানায়, যেখানে ২টি ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে ১২টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে সেখানে একটি অতিরিক্ত ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থা থাকলে আজ এ দুরবস্থা হতো না। তাছাড়া ট্রান্সফরমার দুটি একসাথে বিকল হলেতো জনদূর্ভোগের সীমা থাকত না।

সর্বোপরি বিদ্যুতের এমন বেহাল অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছে খাগড়াছড়ির সর্বস্তরের জনগন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন