নিষেধাজ্ঞার মাঝেও ছেড়াদ্বীপে প্রতিনিয়ত যাচ্ছে পর্যটক, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ

fec-image

নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপে প্রতিনিয়ত পর্যটক আসা যাওয়া করছে। ফলে দ্বীপের সামুদ্রিক জীব ও প্রবাল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।

সেন্টমার্টিনকে রক্ষার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ১৩টি নির্দেশনা জারি করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন দ্বীপের বর্জ্য-পদার্থ অপসারণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার মধ্যে ছেড়াদ্বীপে ভ্রমণ নিষিদ্ধ থাকলে ও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে অচিরেই পর্যটকদের স্বপ্নের দ্বীপ সাগরে বিলীন হয়ে যাবে।

এক শ্রেণীর বোট মালিকেরা টাকার লোভে প্রশাসনের যোগসাজশে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের ছেড়াদ্বীপে নিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে অটোরিক্স করে ছেড়াদ্বীপে যেয়ে থাকেন। তবে ভাড়া বেশি হওয়াতে পর্যটকরা বোট ব্যবহার করে থাকেন বলে পর্যটকরা জানিয়েছেন।

সেন্টমার্টিনে বেড়াতে আসা ইমরান খান নামের এক পর্যটক জানান, আমি এই প্রথম সেন্টমার্টিন এসেছি, এখানে এসে দেখলাম পরিবেশের মারাত্বক খারাপ অবস্থা। তাছাড়া ছেড়াদ্বীপে যাওয়া নিষেধ থাকলেও বোট মালিকেরা আমাদের লোভ দেখিয়ে সেখানে নিয়ে যায়, কিন্তু কোস্ট গার্ড নামতে দেয়নি। অথচ অসংখ্য পর্যটক দূর থেকে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বোট চালক জানায়, তারা দায়িত্বরত প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পর্যটকদের ছেড়াদ্বীপে নিয়ে যান।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী বলেন, ছেড়াদ্বীপ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা আসার পর বোট মালিকদের নিষেধ করা হয়েছে ছেড়াদ্বীপে না যাওয়ার জন্য। তবুও আমাদের অগোচরে পায়ে হেটে অনেক পর্যটক সেখানে যেতে থাকে, যার কারনে পর্যটকদের বিচরণ বন্ধ করা যাচ্ছে না, এরপরেও এখন থেকে যদি কেউ যায়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন