নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৩, হস্তান্তর ১৩৩

59610_588339031184557_267209100_n

 ডেস্ক নিউজ

সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১৭৩ জনের লাশ তালিকাভুক্ত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১২৯ জনের লাশ  স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক লোক। ভবনটিতে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকাজ চলছে।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন  এ তথ্য জানিয়েছেন।বুধবার সকালে নবম তলা ভবনটি ধসে পড়ে। এ ঘটনায় সহস্রাধিক লোক আহত হয়েছেন।

জানা যায়,রানা প্লাজার তৃতীয় থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত ছিল পোশাক কারখানা। নিচের দুটি তলায় ছিল বিপণিকেন্দ্র ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। হরতালের কারণে বিপণিকেন্দ্র বন্ধ ছিল। ভবনে ফাটল ধরায় ব্যাংকটি আগের দিন  কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়।
ধসে পড়া ভবনের তৃতীয় তলায় আগের দিন ফাটল দেখা গিয়েছিল। এ জন্য পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বুধবার কাজে যোগ দিতে চাননি। মালিকেরা কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেছেন বলে আহত শ্রমিকেরা দাবি করেছেন।
সাভারে ভবনধসে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর বিবিসিকে বলেছেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ইমারত নির্মাণের নিয়ম কানুন যথাযথ অনুসরণ করা হয়নি বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তবে একইসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কিছু হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেওয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে সেটাও একটি সাম্ভাব্য কারণ হতে পারে।
মন্ত্রী জানান, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 দেশে ভবন ধসে অথবা অগ্নিকাণ্ডে কিছুদিন পরপরই পোশাক শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
 
এর আগে কয়েক বছর আগে এ মাসেই অর্থাৎ এপ্রিলে সাভারের কাছে স্পেকট্রাম নামে একটি পোশাক কারখানা ধসে ৬০ জনেরও বেশি শ্রমিক মারা গিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার রানা প্লাজা নামে ভবনটিতে ফাটল চোখে পড়ে, কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের নিষেধের পরেও বুধবার তা খোলা রাখা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল নয়টার দিকে হঠাৎ করে বিকট শব্দ এবং কাঁপনে তারা ভূমিকম্পের আশঙ্কা করেন। পরে বেরিয়ে দেখেন বিরাট এলাকা ধুলো বালু ধোঁয়াটে হয়ে পড়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন