পপি ত্রিপুরার মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে ছিল ঘাতকের পরিবার

fec-image

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন ত্রিপুরা নারীর মৃত্যুর সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ঢাকার অভিজাত আবাসিক এলাকা গুলশানে এই ঘটনায় চালকের আসনে ছিলেন ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর।

ঘটনার পর ঐ কিশোরের পরিবার নিহতের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশে অর্থ দিয়ে অপরাধের দায় এড়ানোর প্রবণতা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়।

এই প্রবণতার নৈতিকতার দিকটি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছে।

আইনজীবীরা বলছেন, খুব আলোচিত সড়ক দুর্ঘটনা না হলে ক্ষতিপূরণ ও বিচার পাওয়াও কঠিন।

পপি ত্রিপুরার মৃত্যু

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে গুলশান আবাসিক এলাকার ভেতরে রিক্সায় করে একটি চৌরাস্তার মোড় পার হচ্ছিলেন বিউটি পার্লারের কর্মী পপি ত্রিপুরা।

বাঁদিক দিয়ে একসাথে আসছিলো তিনটি গাড়ি। যার একটি খুব দ্রুত বেগে তার রিক্সাকে ধাক্কা দেয়।

রিকসা থেকে ছিটকে পড়ে যান পপি। থামার বদলে আরও দ্রুত বেগে গাড়িটি চলে যায় তার শরীরের উপর দিয়ে।

এই দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে গেছে তার প্রাণ আর তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা তার পরিবারের স্বপ্ন- বলছিলেন তার ভাই জয়ন্ত ত্রিপুরা।

“ওনার স্বপ্ন ছিল পার্লারের ব্যবসা করবেন। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আমি যেহেতু ছোটভাই। তার স্বপ্ন ছিল আমাকে লেখাপড়া করাবেন। সে খুব কর্মঠ ছিল। নিজে পার্লারে কাজ করতেন। ওনার ইচ্ছা ছিল কাজটি শিখে যদি নিজে একটা পার্লার দিতে পারেন।”

জয়ন্ত ত্রিপুরা বলছেন, বান্দরবানের থানচিতে তাদের গ্রামের বাড়িতে যেদিন তার দিদির মরদেহ সৎকার করা হয়েছে, সেদিনই গাড়িটির চালক, ১৭ বছর বয়সী সেই কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের ৫০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছিল।

সূত্র: বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন