পর্যটন সম্ভাবনাময় অপরূপ দীঘিনালা

toidu-jhorna-news-pic-1

দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি :

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পর্যটন সম্ভাবনাময় এক অপরুপ উপজেলার নাম দীঘিনালা। এই উপজেলায় রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের বনবাসী রাজা গোবিন্দ মানিক্যের খনন করা দীঘি, তৈদুছড়া ঝরনা, প্রাকৃতিক জলপ্রপাত, ডেসটিনি’র বাংলো বাড়ি, মাইনী নদির উপর ঝুলন্ত সেতু ও বনবিহার।

বিশেষ করে তৈদু ঝরনা ও একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাতের সন্ধান পর্যটন সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছে। তাই সকল মৌসুমে দীঘিনালাকে ঘিরে পর্যটকের যাতায়াত বেড়েছে অনেক।

পর্যটকদের যাতায়াত বাড়লেও পর্যটকদের জন্য তেমন একটা সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি। তাই থাকা-খাওয়া ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে পর্যটকদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। তারপরেও পর্যটকেরা ছুটে আসে তৈদুছড়া ঝরনা, জলপ্রপাতসহ পর্যটন স্পট দেখতে। বিশেষ করে দুই ঈদ’কে ঘিরে সবাই বেড়াতে আসে এখানে।

দীঘিনালার দুর্গম পাহাড়ে তৈদু ঝরনার অবস্থান। উঁচু নিচু পাহাড় বেয়ে যেতে হয় সেখানে। পার্বত্য চট্টগ্রামের যতগুলো ঝরনা আছে প্রায় সবগুলোই শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায়, কিন্তু তৈদু ঝরনা সারা বছর একই নিয়মে পানি প্রবাহিত হয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে অনন্য এই তৈদু ঝরনা। সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে এক রোমাঞ্চকর ঝরনা ধারা এটি।

তৈদু ঝরনার আশেপাশে কোন জনবসতি নেই। এর আশেপাশে ঘিরে আছে নাম না জানা হরেক রকমের পাহাড়ি গাছপালা। মূলত তৈদু নামটি স্থানীয় ত্রিপুরাদের দেয়া। বাংলায় তৈদু ঝরনার অর্থ পানির দুয়ার।

অপরদিকে রয়েছে দীঘিনালা বনবিহার। এখানে প্রতিদিন পরন্ত বিকেলে দায়ক-দায়িকারা আসেন উপসনালয়ে। এছাড়া পর্যটকদের আকর্ষনের জন্য বনবিহারটিতে রয়েছে প্রায় কয়েকশ প্রজাতির গাছপালা। রয়েছে দীঘিনালা ঐতিহ্যবাহী দীঘি। এই দীঘি থেকেই দীঘিনালার নামকরন করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ডেসটিনি’র বাংলো বাড়ি, ঝুলন্ত সেতু ইত্যাদি। ঝুলন্ত সেতুটি দীঘিনালার উপর দিয়ে প্রবাহিত মাইনী নদির উপর অবস্থিত।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

One Reply to “পর্যটন সম্ভাবনাময় অপরূপ দীঘিনালা”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন