পহেলা মে থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ, পরিবহন নিষিদ্ধ
নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি:
কাপ্তাই হ্রদে প্রাকৃতিক প্রজননের মাধ্যমে মাছের বংশ বৃদ্ধি ও অবমুক্ত পোনার যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হ্রদে মাছ শিকার, বিপণন ও পরিবহন বন্ধে আগামী তিন মাসের জন্য বিধি-নিষেধ জারী করেছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসন সন্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ এ বিষয়টি জানান।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, আগামী পহেলা মে দিনগত রাত ১২টার পর থেকে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত হ্রদে মাছ শিকার, হ্রদের মাছ বিপনন, পরিবহন এবং স্থানীয় বরফকল বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
এসময়ের মধ্যে কেউ যদি এ আদেশ অমান্য করে কোন উপায়ে হ্রদে মাছ শিকার, বিপনন এবং পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হ্রদের মাছ অবৈধ শিকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে নৌ পুলিশ, বিজিবি এবং মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের কর্তৃপক্ষ টহল জোরদার রাখবে।
এছাড়া হ্রদে অবৈধ মৎস্য শিকারীদের শাস্তি প্রদানে মোবাইল কোর্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে হ্রদের ৪টি গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে।
অভয়াশ্রমগুলো হলো- জেলা প্রশাসকের বাংলো ঘাট, রাজবন বিহার ঘাট, লংগদু উপজেলা ইউএনও অফিস ঘাট এবং নানিয়ারচর ছয় কুড়ি বিল। এই অভয়াশ্রমগুলোতে সারা বছর মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
হ্রদে তিন মাস মাছ আহরণ বন্ধকালীন সময়ে নিবন্ধিত জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হবে বলে জাননো হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার (নৌ-বাহিনী) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মাছ ধরা বন্ধ মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছের পোনা ছাড়া হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া হ্রদে যারা অবৈধ জাঁক দিয়ে মাছ শিকার করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শফি কামাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।