পানছড়িতে শ্রেণিকক্ষে ঝরে পড়েছে পলেস্তারা, অল্পের জন্য রক্ষা

fec-image

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার চেংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শ্রেণি কার্যক্রম (পাঠদান কার্যক্রম) চালানো হচ্ছে। ক্লাস চলাকালীন সময়ে শ্রেণি কক্ষে ঝরে পড়েছে বিশালাকার পলেস্তারা। দু’টেবিলের মাঝ বরাবর খালি জায়গায় পড়াতে অল্পের জন্য রক্ষা পেল কয়েক ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আতংক বিরাজ করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে।

বিদ্যালয়টি উপজেলার ২নং চেংগী ইউপির চন্দ্র কারবারি পাড়ায় অবিস্থত। ১৯৬৪ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হলেও বর্তমান ভবনটি নির্মিত হয় ১৯৯৪ সালে। গত দু’বছর আগে জোড়াতালির মাধ্যমে কিছু মেরামতের কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ে ছাদসহ বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে বিশালাকার ফাটল। ঝরে পড়ছে পলেস্তারা। বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটা সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে জান জানালেন শিক্ষার্থীর অভিভাকরা।

ক্ষুদে শিক্ষার্থী সুজন, পূর্ণা, রেমরি, নিরাশা, জিনসা চাকমারা জানায়, তারা বিদ্যালয়ে আসতে ভয় পায়। তাদের দাবি বিদ্যালয়ের পরিবেশটি খুব সুন্দর। সামনে রয়েছে একটি সুন্দর খেলার মাঠ। কিন্তু বিদ্যালয় ভবনটি দাড়িয়ে আছে শতভাগ ঝুঁকি নিয়ে। নতুন একটি ভবনের দাবি তাদের।

শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুশোভন চাকমা জানায়, ভবনটি অনেক পুরনো। যার সামনে, পিছনে, উপরে-নিচে সব জায়গায় বিদ্যালয়টি মেরামত না করে নতুন ভবন অনুমোদনের জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুপম কান্তি চাকমা জানান, বিদ্যালয়টির অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। পুরো বিদ্যালয় জুড়েই বড় বড় ফাটল। তাই যে কোন মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।

সহকারী শিক্ষক লাপ্রুচাই মারমা জানান, গত মঙ্গলবারে আমি যখন ক্লাসে পাঠদান দিচ্ছিলাম ঠিক তখনি বিশালাকার পলেস্তারা ধরে পড়ে। দু’টেবিলের মাঝ বরাবর খালি জায়গায় পড়ার কারণে বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা হয়। ব্যাপারটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুজিত মিত্র চাকমা জানান, চেংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অবস্থা খুবই ঝুকিপূর্ণ। ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরে পর পর তিনবার নতুন ভবনের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এ নিয়ে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন