পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন এর প্রতিনিধি সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন এর প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঢাকাস্থ কার্যালয়ে সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন এর পক্ষ থেকে পার্বত্য মন্ত্রণালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসন, কোর্ট কাচারি ও অন্যান্য অফিস আদালত থেকে দেশের অখন্ডতা, স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব বিরোধী উপজাতীয় সাম্প্রদায়িক আমলা ও কর্মকর্তাদেরকে অবিলম্বে অপসারণের জন্য জোর দাবি জানানো হয়েছে বলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এসময় সভায় বাঘাইছড়িতে উপজেলা নির্বাচন কর্মী ৮ জনকে হত্যার ঘটনায় সরকারি তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক যারা দায়ী তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে এবং হতাহতদেরকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সন্তোষজনক সাহায্য প্রদানের জন্য জোর দাবি জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব এবং রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মনিরুজ্জামান মনির।

প্রতিনিধি সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন, সমঅধিকার নারী আন্দোলন, সমঅধিকার ছাত্র ও যুব আন্দোলন এবং সমঅধিকার শ্রমিক আন্দোলনের প্রতিনিধিবৃন্দ যোগদান করেন।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ এবং রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা পরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে অবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে। একটি মাত্র ভোটার তালিকা থাকবে এবং তার ভিত্তিতেই পাহাড়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।

এছাড়াও সভায় শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সন্তু লারমা এবং জেএসএস, ইউপিডিএফ, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, হিল ওমেন ফেডারেশন ইত্যাদির অবস্থান পরিস্কার করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বাঘাইছড়ি হত্যাকান্ডে নিহতদেরকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ কোটি টাকা করে জন প্রতি ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে সুপারিশপত্র প্রেরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

তাছাড়া তিন পার্বত্য জেলার বিশেষত সাজেক, দিঘীনালা, পানছড়ি, রামগড়, থানছি, নাইক্ষ্যংনছড়ি, বান্দরবান সদরসহ দূর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে সর্বপ্রকার বেআইনী অস্ত্র ও গোলাবারুল উদ্ধার করার জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিভাগের প্রতি আকুল আবেদন জানানো হয়েছে।

তাছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ ছাড়া পাহাড়ের ভূমি সমস্যা নিরসনে কোনরূপ স্পর্শকাতর পদক্ষেপ গ্রহণ না করার জন্য পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতি জোর দাবি জানানো হয়েছে।

এছাড়া খাগড়াছড়ি থেকে মনোনীত মহিলা এমপি বাসন্তি চাকমা সম্প্রতি জাতীয় সংসদে সন্তু লারমা এবং ত্রিশ হাজার বাঙালির খুনী উপজাতীয় শান্তি বাহিনীর পক্ষে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং বাসন্তি চাকমাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে।

সভায় আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের আটক, সাম্প্রদায়িক মনা উপজাতি আমলা, উপাচার্য্য, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অপ্রসারণসহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করবেন সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন