পুকুরে ভাসমান সেতুতে চলাচল
চলাচলের রাস্তা সরিয়ে দেয়ায় পুকুরে ভাসমান সেতু নির্মাণ করে যাতায়াত করছে দু‘টি পরিবার। কুতুবদিয়া উত্তর ধুরুং ফয়জানি বাপের পাড়ায় ৩ বছর ধরে এভাবেই চলছে ভোগান্তির এ দৃশ্য।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ফয়জানি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিক পেছনেই ভুক্তভোগি দুই পরিবার সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুদ্দৌলাহ ও গাউছিয়া দাখিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোক্তার আহমদ । বাড়ির সামনে পারিবারিক বিশাল পুকুর দিয়ে ড্রামের সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন তারা।
সিরাজুদ্দৌলাহ জানান, বিদ্যালয়ের পাশে মসজিদ ঘেঁষে রাস্তা ছিল যুগ যুগ ধরে। তারা এতকাল চলাচল করছেন সেখান দিয়েই। প্রতিবেশি ফকির মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল খালেকসহ কতিপয় ব্যক্তির পরামর্শে ওই রাস্তাটি বন্ধ করে কবরস্থানের মাঝখান দিয়ে একটি রাস্তা বের করেন। কবরস্থানের মাঝের রাস্তাটিতে তার মেয়ের কবর ছিল বলে তিনি ওই পথে চলাচল করেননা। বাড়ি থেকে বের হবার মত সুবিধাজনক পথ না পেয়ে ১৫টি প্লাস্টিক ড্রাম দিয়ে সেতু বানিয়ে ৩ বছর ধরে পুুকুর দিয়ে চলাচল করছেন বলে জানান তিনি।
অপর ভুক্তভোগি মোক্তার আহমদ বলেন, পুরোনো পথটি তাদের জন্যও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুকুরের ভাসমান সেতু দিয়ে দিয়ে পার হন। কিছু বললেও কর্ণপাত করেন না তারা। কেন প্রতিবেশিরা এমন করছেন তিনি বুঝতেও পারছেন না। তবে এই ভোগান্তি কতকাল চলবে তাও বলতে পারছেন না।
স্থানিীয় ইউপি সদস্য আবু তৈয়ব বলেন, নানাবিধ কারণে আব্দুল খালেক গং রাস্তাটি সরিয়ে কবরস্থানের মাঝে আরেকটি রাস্তা বের করেছেন। সেখান দিয়ে অনেকেই চলাচল করছেন। সাবেক মেম্বার সিরাজুদ্দৌলাহ করবস্থানে তার সন্তানের কবর চিহ্নিত করে দিলে প্রয়োজনে রাস্তাটি অন্যদিকে ফেরানো যাবে। তবে বর্তমান রাস্তা দিয়ে না হেঁটে পুকুরে ভাসমান সেতু দিয়ে দু‘টি পরিবারের যাতায়াত অমানবিকও বটে।