পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে নতুন তত্ত্ব দিলেন বাঙালী গবেষক

পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তির নয়া তত্ত্ব দিলেন টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়

ডেস্ক নিউজ:

পৃথিবীতে প্রাণের উত্পত্তি কীভাবে? বিশ্বজুড়ে এনিয়ে চলছে নানা গবেষণা। বিজ্ঞানীরা বলেন, ধবংস ও সৃষ্টির নানা চক্রের মধ্যে দিয়ে এগি্য়েছে পৃথিবী। ঘটেছে প্রাণের বিবর্তন।  কিন্তু প্রাণ সৃষ্টির রহস্য উন্মোচনের নিরন্তর গবেষণায় ছেদ পড়েনি কখনও। এবার  সেই ক্ষেত্রেই নতুন  তত্ত্ব সামনে আনলেন বাঙালী বৈজ্ঞানিক শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়।

পৃথিবীতে প্রাণের উত্‍পত্তি কীভাবে? এনিয়ে রহস্যের শেষ নেই। রয়েছে নানা মুনির নানা তত্ত্ব।  সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল এক বাঙালী বৈজ্ঞানিকের নাম। শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শঙ্করবাবু পেশায় জীবাশ্মবিদ। শঙ্কর বাবুর দাবি পৃথিবীতে প্রাণের উত্‍‍স খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের দাবি প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে যখন পৃথিবী সৃষ্টি হয়, তখন আবহাওয়া ছিল ভয়ঙ্কর। এর পর প্রখম ৫০-৬০ কোটি বছর ধরে চলেছে নানা ভাঙা গড়ার প্রক্রিয়া। চলেছে নানা মহাজাগতিক ক্রিয়া বিক্রিয়া।

৪০০ কোটি বছর আগে শুরু হয় প্রাণ সৃষ্টির প্রক্রিয়া। মূলত চার ধাপে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে প্রাণ। প্রথম ধাপে উল্কা আর ধুমকেতু পৃথিবীতে নিয়ে আসে প্রাণ সৃষ্টির প্রাথমিক উপাদান এবং জল। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ধূমকেতু আর উল্কার নিয়ে আসা উপাদানগুলি নিয়ে  তৈরি হয় জটিল যৌগ। সেই যৌগগুলি নিজেদের সাজিয়ে তৈরি করে আরও জটিল যৌগ। তৈরি হয় আরএনএ প্রোটিন। আরএনএ থেকে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তৈরি হয় ডিএনএ। তৈরি হয় কোষ। এভাবেই পৃথিবীর  প্রানের উদ্ভব হয়। মোটামুটি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্ব এটাই। 

পেশায় জীবাশ্মবিদ শঙ্কর বাবু জানিয়েছেন গ্রিনল্যান্ড,অষ্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকাতেই সন্ধান মিলেছে পৃথিবীর প্রাচীন জীবাশ্মের। মিলেছে এমন কিছু পাথর যা এসেছে পৃথিবীর বাইরে থেকে। শঙ্করবাবু জোর দিয়েছেন প্রান সৃষ্টির আধারের ওপর। তাঁর ব্যাখ্যা, উল্কা বা ধূমকেতুর আঘাতে সমুদ্রের গভীরে তৈরি হওয়া গর্তগুলিই প্রান তৈরির রান্না ঘরের কাজ করেছে। সেগুলিই আদিম প্রানের উত্‍স।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন