পেকুয়ায় কাজ না করেই টিআর প্রকল্পের ৫০হাজার টাকা আত্মসাৎ করলেন ইউপি সদস্য

fec-image

দুর্নীতি

পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড় ইউপি সদস্য আজগর আলীর বিরুদ্ধে টিআর প্রকল্প থেকে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ নিয়ে গৃহীত প্রকল্পের কাজ না করেই বরাদ্দের সমুদয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রা ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারী অর্থ আত্মসাতের দায়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। তবে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য আজগর আলী।

জানা গেছে, সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় চকরিয়া-পেকুয়ার সংসদ সদস্য হাজী মো. ইলিয়াছ এর মাধ্যমে ২০১৩-৪-১৫ অর্থ বছরের শেষের দিকে পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে টিআর ও কাবিখা প্রকল্পে নগদ টাকা ও খাদ্য শষ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের নুইন্যা-মুইন্যা ব্রীজের নিচ থেকে বাধ অপসারণের নামে স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য আজগর আলীকে প্রকল্প সভাপতি করে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর বরাদ্দের টাকা চকরিয়া সোনালী ব্যাংক থেকে গত মাসে উত্তোলন করে নিয়েছেন ইউপি সদস্য আজগর আলী।

পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের ৩০ জুনের মধ্যে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ করার বাধ্যবাদকতা ছিল। আজ ১৪ জুলাই সকাল পর্যন্ত ওই ইউপি সদস্য আজগর আলী প্রকল্পে এক টাকাও ব্যয় করেনি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, কাজ না করেই কৌশলে ভূঁয়া বিল ভাউচার তৈরি করে ইউপি সদস্য আজগর আলীর নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট বরাদ্দের পুরোটাই মেরে দেওয়ার জন্য অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য আজগর আলীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, বন্যার কারণে তিনি কাজ করতে পারেননি। তিনি ব্যাংক থেকে টাকাগুলো উত্তোলন করে নিজের কাছে গচ্ছিত রেখেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তিনি আরো বলেন, প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করা হয়নি; সময়মতো প্রকল্পের কাজ করা হবে।

পেকুয়ার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ জানান, তিনি খোঁজ খবর নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment
আরও পড়ুন