পেকুয়ায় শ্রেণীকক্ষ নিয়ে দু’শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে বিরোধ, আসবাবপত্র ভাংচুর

pic pekua 14-1-2017
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় শ্রেণীকক্ষ নিয়ে দু শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষকদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। বিরোধের জের ধরে পশ্চিম উজানটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ২টি শ্রেণী কক্ষ গুড়িয়ে দিয়েছে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম উজানটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

শনিবার ১৪ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় উজানটিয়া ইউনিয়নের করিমদাদ মিয়া ঘাট এলাকার পশ্চিম উজানটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, পশ্চিম উজানটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দিন, আনছারের নেতৃত্বে আরো ১ জন শিক্ষক পার্শ্ববর্তী পশ্চিম উজানটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দুইটি শ্রেণী কক্ষ গুড়িয়ে দিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় ছাত্রছাত্রীরা বাধা দিলে তাদের গালমন্দ করে। এতে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষকদের ধাওয়া দেয়।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরে ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা তাৎক্ষনিক এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এদিকে ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকের উল্লাহ জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের ইতিমধ্যে নবম শ্রেণীর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু একটি ভবনের অভাবে আমরা চলতি মাসের শুরু থেকে পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচতলার অব্যবহৃত উম্মুক্ত স্থানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করি।

পশ্চিম উজানটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাঈনুল ইসলাম চৌং জানান, এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ১২ জানুয়ারী আমাদেরকে ওই স্থানে পাঠদান না করতে বারণ করে। এরপর থেকে আমরা পাঠদান বন্ধ রাখলেও শনিবার ঘটনার দিন সকালে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম আজমীর নির্দেশে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামাল, আনচার ওই স্থানে আমাদের রাখা আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় ছাত্রছাত্রীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা ছাত্রছাত্রীদের কে গালমন্দ করে। পরে ছাত্রছাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করে।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত পশ্চিম উজানটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এটা সরকারী ভবন। এখানে অন্য বিদ্যালয়ের ক্লাস নিলে অবশ্যই গুড়িয়ে দিব।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পশ্চিম উজানটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামশুল আলম আজমীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওনার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে অনেক বার কল দিলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মুরাদ চৌং জানান বিষয়টি আমি ও আমার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আমরা এর দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাফুজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওনার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে অনেক বার কল দিলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন