পেকুয়ায় সড়কের ইট দিয়ে নির্মিত হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ী

দুর্নীতি

নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া:
পেকুয়ায় সড়কের ইট দিয়ে নির্মিত হয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন পাকা বাড়ি। জনগণের চলাচলের জন্য এলজিইডি মগনামার পশ্চিমে বেড়িবাঁধে সড়কে ইট দিয়ে পাকা করন করেন।

সড়কের ওই ইট গুলো দিয়ে মগনামা ইউনিয়নের নুইন্যারপাড়া এলাকায় আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি নির্মান করেছেন বৃহৎ পাকা বাড়ি। একটি ইট চোর সিন্ডিকেট সড়কের ইট স্থানীয়দের বিক্রি করেছেন।

আবুল কালাম নিজে বেড়িবাঁধ থেকে কয়েক হাজার ইট নিয়ে তার বাড়ির কাজে ব্যবহার করেছেন। তিনি বিপুল পরিমান ইট চোর সিন্ডিকেটের কাজ থেকে অল্পদামে কিনে নেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন ওই ব্যক্তি স্থানীয় ইউপির সদস্য বিএনপি নেতা নুর মোহাম্মদ বদ এর ভাগিনী জামাতা। এ সুবাদে ইউপি সদস্য সড়কের ইট দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করতে তাকে নেপথ্যে থেকে সহযোগিতা ও প্রেরণা যোগান।

স্থানীয়রা জানায়, সড়কের ইট দিয়ে সুরম্য পাকা বাড়ি নির্মানের সময় তারা বিষয়টি ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ বদকে একাধিকবার অবহিত করেন। কিন্তু এর পরেও থেমে থাকেনি সড়কের ইট দিয়ে বাড়ি নির্মাণ কাজ।

অভিযোগ উঠেছে ওই আবুল কালাম শুধু ইট দিয়ে পাকা বাড়ি নির্মানে থেমে থাকেনি। বেড়িবাঁধের স্থিত ব্লক এনে পুকুরের সিঁড়ির কাজেও ব্যবহার করছেন।

বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে নুইন্যারপাড়ার আবুল কালাম ইতিমধ্যে বাড়ি নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছেন। বাড়ি নির্মাণে তিনি একটিও ইট ব্রিক ফিল্ড থেকে ক্রয় করেননি। সব ই্ট এলজিইডির মালিকানাধীন সড়ক থেকে উত্তোলন করে বাড়ি নির্মাণ কাজে ব্যবহার করেছেন।

আবুল কালাম বেড়িবাঁধের ইট নিয়ে বাড়ি নির্মাণের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানান, ‘ইটগুলি আমি বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। প্রতি হাজার ইট তিন হাজার টাকা দামে ক্রয় করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। আবুল কালামের বাড়ি থেকে ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদের বাড়ির দুরত্ব মাত্র পাঁচ চেইন।

ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ জানান, বিষয়টি আমি জানি না। আমি কাউকে সড়কের ইট দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করতে বলিনি। আবুল কালাম আমার আত্মীয় নয়, প্রতিবেশি।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা এলজিইডির সহকারি প্রকৌশলী বাবু হারু কুমার পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন