প্যারাগুয়েকে উড়িয়ে জয়ে ফিরলো ব্রাজিল

fec-image

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলের আগের ম্যাচে ছিল ঘটনার ঘনঘটা। ইকুয়েডরের সঙ্গে ম্যাচটি ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। মঙ্গলবার রাতে নিজেদের মাঠ স্টাডিও মিনেইরোয় প্যারাগুয়ের জালে রীতিমত গোল উৎসব করেছে ফিলিপ কৌতিনহো, রাফিনহা, রদ্রিগোরা। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সেলেসাওরা।

বেলো হরিজন্তের মাঠে প্যারাগুয়ে শিবিরে দুই অর্ধে ত্রাস ছড়ানো সেলেসাওরা নান্দনিক ফুটবলই খেলেছে। ভাগ্য সহায় হলে ব্যবধান আরও বাড়লেও বাড়তে পারতো। চোটগ্রস্ত নেইমারকে ছাড়া ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই রাফিনহার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু ভিএআর দেখে নেওয়ার পর অফসাইডে বাতিল হয়েছে তা। এর পর সুবর্ণ সুযোগ মিস হয়েছে ১৭ মিনিটেও। বক্সের কাছে ভিনিসিয়ুসের স্কয়ার পাস থেকে বল পেয়েও রাফিনহা সেটি মেরেছেন ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

শেষ পর্যন্ত ২৮ মিনিটে প্রথম গোলটি পেয়েছে ব্রাজিল। মধ্যমাঠ থেকে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ওপর দিয়ে লং পাস দিয়েছিলেন মার্কুইনহোস। রাফিনহা বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে প্যারাগুয়ে গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে জাল কাঁপিয়েছেন।

বিরতিতে যাওয়ার আগে আক্রমণে আরও ধার বাড়ে ব্রাজিলের। যা অব্যাহত ছিল দ্বিতীয়ার্ধেও। তবে রাফিনহার দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। এই অর্ধেও জাল কাঁপাতে শট নিয়েছিলেন লিডস ইউনাইটেডের এই উইঙ্গার। কিন্তু তার ভলি গিয়ে আঘাত হানে পোস্টে।

দুই অর্ধে কোনওভাবেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি প্যারাগুয়ে। বরং সময় যত গড়িয়েছে গোল উৎসবে মেতেছে ব্রাজিল। ছন্দময় ফুটবল খেলা ব্রাজিল দ্বিতীয় গোল পায় ৬২ মিনিটে। প্রথমটির মতো এই গোলটিও বানিয়ে দেন মার্কুইনহোস। তার দেওয়া পাসে ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া বাঁকানো শটে জাল কাঁপান কৌতিনিয়ো। ওপর দিয়ে যাওয়া বলটি কোনওভাবেই রক্ষা করতে পারেননি প্যারাগুয়ে গোলকিপার।

৮৪ মিনিটে সুযোগ পেয়ে জাল কাঁপাতে পারেননি আলভেস। ৮৬ মিনিটে ঠিকই স্কোর ৩-০ করে ছেড়েছেন অ্যান্তনি। এভারটন রেবেইরোর দেওয়া পাস ধরে জাল কাঁপান ব্রাজিল উইঙ্গার। দুই মিনিট পর আবারও গোল। ৮৮ মিনিটে রদ্রিগোর গোলে স্কোর হয় ৪-০।

দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে যাবে ৪ দল। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা এরই মধ্যে টিকিট নিশ্চিত করেছে। পঞ্চম দলকে প্লে অফে খেলতে হবে এশিয়ান কনফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত কারো সঙ্গে।

এই হারে প্যারাগুয়ের কাতার বিশ্বকাপ স্বপ্নের ইতি ঘটেছে। আর জয়ের পর শীর্ষস্থান আরও সুসংহত হয়েছে ব্রাজিলের। ১৫ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা শীর্ষেই। যেখানে হারেনি কোনও ম্যাচ। বাছাইয়ে ঘরের মাঠেও অপরাজিত থাকলো ৬১ ম্যাচ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন