ফেনী নদী থেকে ভারতের পানি উত্তোলনের স্থান নির্ধারনে দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রকৌশলীর পরিদর্শন

fec-image

সীমান্তবর্তী ফেনী নদী থেকে ভারত সমঝোতার পানি তুলে নিতে নদীতে ইনটেক ওয়েল বা কূপ খননের স্থান নির্ধারণ করতে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রকৌশলীরা শুক্রবার(১৮ ফেবুয়ারি) রামগড় সীমান্তে যৌথভাবে পরিদর্শন করেছেন। নদীতে ইনটেক ওয়েল বা কূপ খনন করে পাইপের মাধ্যমে সমঝোতার ১.৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনে ভারতকে শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, সমঝোতা স্মারকের শর্ত অনুযায়ী ভারত ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের জন্য নদীতে ইনটেক ওয়েলের (কূপ) স্থান যৌথভাবে নির্ধারণ করতে শুক্রবার দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রকৌশলীরা নদীর বিভিন্ন স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। ১২ সদস্যের বাংলদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলি মো. রমজান আলী।

অপরদিকে ১০ সদস্যের ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন দক্ষিণ ত্রিপুরার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর মি. সাজু ভাহেদ। শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল মৈত্রী সেতু হয়ে ত্রিপুরার সাবরুমে যান। সেখানে মৈত্রী সেতু সংলগ্নে ফেনীনদীর উজান ও ভাটির দুটি স্থান সরেজমিনে যৌথভাবে পরিদর্শন করেন দুদেশের প্রকৌশলীরা।

সূত্রজানায়, ভারত ইনটেক ওয়েল(কূপ) নদীর জল প্রবাহের ভারতীয় অংশে না করে নদীর মধ্যবর্তী স্থানে করতে বেশি আগ্রহী। তবে বাংলাদেশের তরফে এ ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

বাংলদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলি মো. রমজান আলী বলেন, ‘ইনটেক ওয়েলের(কূপ) ভারতের প্রস্তাবিত দুটি স্থানই পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ব্যপারে তারা সরকারের কাছে প্রতিবেদন পেশ করবেন। সরকারই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’ ভারত ৩৭টি পাম্প বসিয়ে ফেনীনদী থেকে অবৈধভাবে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে কোন আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আলোচ্য সূচিতে ছিল না।’

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মো: মাহমুদুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম পওর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. জীবন কুমার সরকার, সীমান্ত নদী সংক্রান্ত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নব কুমার চৌধুরি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব এস এম সরওয়ার কামাল, রামগড় ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আনোয়ারুল মাযহার, রামগড় উপজেলা নির্বাহি অফিসার খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত, পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সুর্বনা শামিম, ভূমি রেকর্ড ও জরিত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফেরদৌস হোসেন, যৌথ নদী কমিশনের নির্বাহি প্রকৌশলী মো. আনোয়ার কাদির, পনি উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রামের নির্বাহি প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান। ভারতের প্রতিনিধিদলে দক্ষিণ ত্রিপুরার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শংকর দেবনাথ, পিডব্লিওডি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনোরঞ্জন দেববর্মা, অমিত দাশ, সিনিয়র ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শুভাংসু সরকার, বিলোনিয়ার এসডিএম মানিক লাল দাশ, সাবরুমের এসডিএম দেবদাস দেববর্মা প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন