বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার বাহিনীর গুলিবর্ষণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে এন্টি পার্সোনাল মাইন স্থাপন ও উস্কানিমূলক গুলি বর্ষণের পাশাপাশি টহল বাড়িয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

এর আগে, রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টির পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক হেলিকপ্টার ১৭ বার বাংলাদেশের আকাশসীমা লংঘন করেছে। বাংলাদেশ এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলো।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মিয়ানমার আকাশসীমা লংঘনের ঘটনার বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। কিন্তু বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ উপায়ে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে সমস্যার সমাধান করতে চায়।

তাদের আগ্রাসী মনোভাবে সীমান্তে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের অন্তত ৯টি পয়েন্টে মাইন স্থাপন করেছে মিয়ানমার বাহিনী। এছাড়া প্রতিদিন সীমান্তের কাঁটাতারের পাশে বিশাল বহর নিয়ে টহল দিচ্ছে তারা।

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের দীর্ঘ সীমান্তে আগেই কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। কিন্তু গত ২৩শে আগস্ট নিজেদের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সাথে সংঘাতের পর সীমান্তের অন্তত ৯টি পয়েন্টে এন্টি পার্সোনাল মাইন স্থাপন করেছে তারা।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া গোপন স্থির চিত্র এবং ভিডিওতে মিয়ানমার বাহিনীর নানা তৎপরতা ধরা পড়েছে। বিশেষ করে ক্রস চিহ্নিত একাধিক স্থানেই মাইন স্থাপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সীমান্তের জঙ্গল এলাকায় মিয়ানমার বাহিনী অবস্থান নিয়ে মাইন স্থাপন করছে।

সীমান্তে উত্তেজনাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও চরম আতংক বিরাজ করছে। বিশেষ করে মিয়ানার বাহিনীর উস্কানিমূলক গুলি বর্ষণের কারণে সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থানে থাকা স্কুলগুলো প্রায় শিক্ষার্থী শুন্য।

প্রতিদিনই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করতে গুলিবর্ষণ করছে মিয়ানমার বাহিনী। এনিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ।

সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমার বাহিনীর বিশাল বহরের টহল নজর এড়ায়নি বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। সে সাথে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া মিয়ানমার বাহিনীর মাইন স্থাপনসহ নানা কর্মকান্ডের তথ্য-উপাত্তগুলো যাছাই-বাছাই করছে বিজিবি।

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ২শ ৮ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৫২ কিলোমিটার নাফ নদী, ১৬ কিলোমিটার উখিয়া এবং বাকি অংশ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সংলগ্ন। পুরো সীমান্ত পথেই রয়েছে মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়া।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন