বাঘাইছড়িতে থ্রি মাডার মামলার প্রধান আসামী অঙ্গদ চাকমা আটক

আটক
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি:
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে আলোচিত থ্রি মাডার মামলার প্রধান আসামী অঙ্গদ চাকমাকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টার সময় অঙ্গদ চাকমাকে বাঘাইছড়ির করেঙ্গাতলী এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আটক অঙ্গদ চাকমা গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখা কমিটির সভাপতি।

এবিষয়ে বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আজিজুল হকের কাছ থেকে জানতে চায়লে তিনি আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে গত ২০১৩সালে বাঘাইছড়ির শিজক মুখ এলাকায় থ্রি মাডার ( ১/শশাংখ মিত্র চাকমা, ২/নন্দ কুমার চাকমা ৩/ যতিষ্ঠ চাকমা ) মামলায় প্রধান আসামী হিসেবে থানায় মামলা রয়েছে। এলাকায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন্ অপকর্মেরও অভিযোগ রয়েছে। আজ আসামী অঙ্গদ চাকমাকে রাঙামাটি কোর্টে চালান করা হয়েছে বলে তিন জানান।

এদিকে অঙ্গদ চাকমাকে আটকের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাইকেল ও সাধারণ সম্পাদক অংগ্য মারমা চাকমা।

শুক্রবার সন্ধায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে অঙ্গদ চাকমাকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে তারা এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকাল বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বাঘাইছড়ির করেঙ্গাতলী বাজার থেকে মোটর সাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে ক্যাম্পের চেকপোস্টে অঙ্গদ চাকমাকে আটক করা হয়। পরে তাকে প্রথমে বাঘাইহাট জোনে ও পরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। অপর এক ঘটনায় একইদিন খাগড়াছড়ির জেলার মহালছড়িতে ডিওয়াইএফ মহালছড়ি উপজেলা শাখার সম্মেলনের মঞ্চ ভেঙে দেয়া হয় ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হয়। ফলে আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য উক্ত সম্মেলন ভণ্ডুল হয়ে যায়।’

নেতৃবৃন্দ উক্ত ঘটনাকে গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ আখ্যায়িত করে বলেন, ‘বর্তমান সরকার একটি বিশেষ মহলের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তুলে দিয়েছে, এরাই এখন এই অঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। নিরীহ পাহাড়িদের ধরপাকড়, ভীতি প্রদর্শন, গ্রেফতার, নির্যাতন ইত্যাদি এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

ডিওয়াইএফ নেতৃদ্বয় অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত অঙ্গদ চাকমাকে নিঃশর্ত মুক্তি, তার বিরুদ্ধে দেয়া মামলা প্রত্যাহার, সভা-সমাবেশে হামলা বন্ধ করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন