বাঘাইছড়িতে সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে ইউপিডিএফ শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়িতে সেনাবাহিনীর গাড়ী লক্ষ করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে সেনাবাহিনীর গাড়ীর সামনের গ্লাস ও বাটনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এসময় সেনাবাহিনীর পাল্টা জবাবে ঘটনাস্থলেই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফের শীর্ষ সন্ত্রাসী শান্তিময় চাকমা ওরফে সুমন চাকমা ওরফে লাকী বাপ(৪০)চাকমা নিহত হয়েছে। এসময় নিহত সুমন চাকমার কাছ থেকে দুইটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রেতকাঠা মুখের দুপতা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সেনা সুত্রে জানানো হয়, ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীরা বাঘাইহাট দুপতা নামক এলাকায় চাঁদা আদায় করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘাইহাট সেনা জোনের একটি আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় অভিযানে গেলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর গাড়ী লক্ষ করে গুলি ছুড়তে থাকে।

তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনী সরকারি সম্পত্তি ও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এসময় উভয় পক্ষের মাঝে ৫-৬মিনিট গুলি বিনিমিয় হয় এবং এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী দলটি পিছু হটে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই সন্ত্রাসীদলের একজন নিহত হয়।

এ বিষয়ে সাজেক থানার ওসি ইসরাফিল বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, লাশ ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠোনো হচ্ছে এবং নিহত সন্ত্রাসীর কাছ থেকে একটি পিস্তল ও একটি রিভলবার পাওয়া গেছে।

নিহত শান্তিময় চাকমা ইউপিডিএফের সামরিক শাখার একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। তিনি ২০১৮ সালের ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা এবং ৪ মে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক নেতা তপনজ্যোতি বর্মা হত্যার তালিকাভূক্ত আসামী। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে বহু হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ ছিলো।

উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট একই জেলার রাজস্থলী উপজেলায় একইভাবে সেনাবাহিনীর টহল দলের উপর উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গুলিবর্ষণে এক সৈনিক নিহত হয় এবং তাদের পেতে রাখা মাইন বিষ্ফোরণে এক অফিসারসহ দুইজন আহত হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত, ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী, বন্দুকযুদ্ধ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন