বান্দরবানে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে প্রশাসনের অভিযান

fec-image

বান্দরবানে পাহাড়ের পাদদেশে বসতী গড়ে বসবাসের ফলে চলমান বর্ষায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে হাজারো পরিবার। ভারী বর্ষণের ফলে যেকোন মুহুর্তে প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সচেতনতা সৃষ্টি ও নিরাপদে সরে যাওয়ার লক্ষ্যে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (৮ জুলাই) বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে শহরের ইসলাম পুর, হাফেজ ঘোনা, লাঙ্গী পাড়াসহ পৌর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাঙ্গাহীর, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নোমান হোসেন প্রিন্সসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সাথে ছিলেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার জন্য ৭ উপজেলায় ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে বান্দরবান সদরে ১০টি, লামায় ৫৫টি, আলীকদমে ১০টি, নাইক্ষ্যংছড়িতে ২০টি, রোয়াংছড়িতে ২২টি, থানচিতে ৩টি ও রুমায় ৬টি।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের দ্রুত সরিয়ে নিতে ইতোমধ্যে নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় মাইকিংও করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার সকল ধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলায় ১২৬টি সরকারী বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে। জেলাপ্রশাসনের ত্রাণ শাখায় খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল এবং ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে।

এছাড়াও জেলার ৭ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নিদের্শ দেয়া হয়েছে- ঝুঁকিপুর্ণ বসবাসকারীদের দ্রুততম সময়ে সরিয়ে নেয়ার জন্য।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন