বান্দরবানে দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি: নিরাপত্তা জোরদার

fec-image

পূজা মানে আনন্দ সে যে ধর্মের হোক না কেন ,তাইতো পূজা আসে সকলের মাঝে এক অনাবিল প্রশান্তির আনন্দ বার্তা নিয়ে সকলের কাছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিটা দেশের মত বান্দরবানে চলছে দূর্গোৎসবের শেষ মুহুর্তের সবরকমের প্রস্তুতি।

সরেজমিনে পূজামন্ডবগুলো ঘুরে দেখা গেছে , হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা উপলক্ষে দেবীকে বরণ করতে ইতোমধ্যে অনান্য জেলার ন্যায় বান্দরবানেও চলছে পূজামন্ডবের প্রস্তুতি, প্রতিমা তৈরি ও সাজ-সজ্জার কাজ । আর শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রতিমার কারিগর ও সাজ সজ্জাকারীরা।

বান্দরবানের সাজসজ্জাকারী পিন্টু দাশ জানান ইতোমধ্যে আমাদের মন্ডব তৈরির সকল রকম প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে, আমরা এখন শুধু এই গুলো ধাপে ধাপে সাজাবো, আশা করছি দুই একদিনের মধ্য পূর্ণাঙ্গভাবে সম্পূর্ণ মন্ডব তৈরি করে পূজা কমিটিকে বুঝিয়ে দিতে পারবো। তিনি আরো জানান এই বছর আমরা ইন্ডিয়ার ইসকন মায়াপুরের মন্দিরের নকশা অনুযারী পূজার মন্ডপটা তৈরি করেছি । যাতে এটা সবার মন আকর্ষণ করে তার জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এইবারও ব্যাতিক্রম এই আয়োজন। এটার মূল উদ্দেশ্য হল বান্দরবানকে সকলের কাছে আলাদা করে তুলে ধরা যাতে এই পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সুনাম সকলের কাছে ছড়িয়ে পরে। আশা করছি এটা প্রস্তুত হয়ে গেলে সকলের মন আকর্ষণ করবে।

দূর্গোৎসব কমিটির সভাপতি লক্ষীপদ দাশ জানান প্রতিবারের ন্যায় এই বার পূজাকে ঘিরে থাকবে নানা আয়োজন। আর এজন্য আমরা সকল সকম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আশা করছি দূর্গা মায়ের কৃপা ও সকলের সার্বিক সহযোগিতা পাশে থাকলে এই বছর খুব সুন্দর জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে এই উৎসবটি আনন্দের সাথে শেষ করতে পারবো । তিনি আরো জানান এই বছর বান্দরবান জেলায় মোট ২৭ টি মন্ডবে এই পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এই পূজাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা ইতোমধ্যে সকল জেলা উপজেলা কমিটির সকলে সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে বিভিন্ন মিটিং করেছি যাতে পূজাকে কেন্দ্র কোন প্রকার বিঘ্নতা না ঘটে।

পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে ৪ অক্টোবর শুক্রবার দেবীর মুখোউন্মোচন করবেন। আর তাতে বান্দরবান জেলার সকল উদ্ধতর্ন কর্মকর্তারা দূর্গা উৎসবে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সুন্দর ও সার্থকমন্ডিত করে তুলবেন। আমরা সকল কিছুর পাশাপাশি অতিথি বরণেরও সকল প্রস্তুতি শেষ করেছি ।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানান, জাতিধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এই পূজা আসে সকলের মাঝে এক আনন্দ বার্তা নিয়ে। আর এই আনন্দ যাতে সবাই অতান্ত সফল ও সুন্দরভাবে নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে তার জন্য বান্দরবান পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা সব সময় থাকবে। ইতোমধ্যে পূজা মন্ডবকে ঘিরে বান্দরবান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। পূজা যাতে সুন্দরভাবে সবাই পালন করতে পারে তার জন্য বান্দরবানে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দসংস্থা, সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ সদা কাজ করে যাবে।

এছাড়াও পূজাকে কেন্দ্র করে পুলিশ সুপার মন্ডবে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরার্মশ প্রদান করেন পুজা উদযাপন কমিটিকে যাতে পূজায় কোনরুপ বিঘ্নতা না ঘটে।

পুলিশ সুপার জানান, এই পূজাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সকল টিম আলাদা আলাদাভাবে প্রতিটা স্থরে কাজ করবে নিরাপত্তা বিধানের জন্য যাতে এই আনন্দ পরিপূর্ণ হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন