বান্দরবানে দেশীয় ও চায়না থ্রি লিচুর বাম্পার ফলন

Bandarban lico pic-16.5.2014

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানে দেশীয় চায়না থ্রি জাতের লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার পরিবেশ ও আবহাওয়া আবহাওয়া অনুকুলে না থাকলে কৃষকের অধিক পরির্চযায় দেশী ও চায়না থ্রি জাতের লিচুর ফলন ভাল হয়েছে।  ফলন ভাল হওয়ায় লিচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে এলাকার কৃষকরা।

চায়না থ্রি জাতের পাকা লিচু গোল। সবুজের সাথে গায়ে হালকা রঙ্গিন থকে। ভিতরে সু-সাদু রসালো মাংস, বিচি অন্য জাতের লিচুর চেয়ে ছোট তাই এ জাতের লিচুর চাহিদা যেমন বেশী তেমনি দামও চড়া।
দেশীয় জাতের লিচু পেঁকে গেলে সারা গা রঙিন হয়ে যায়। ভিতরে মিষ্টি-টক রসালো থাকলেও মাংসের চেয়ে বিচি বড় থাকায় এর চাহিদা কম। এজাতের লিচুর দামও কম।   

শহরের স্থানীয় বাজার গুলোতে বিভিন্ন জাতের লিচুতে ভরে গেছে। চায়না থ্রি জাতের লিচু শতকরা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। এছাড়া স্থানীয় জাতের লিচু বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাহিরে লিচু যাচ্ছে চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।

কৃষি বিভাগ জানায়, পাহাড়ের মাটি ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় বান্দরবান জেলায় অন্য পার্বত্য জেলার থেকে বেশি লিচু চাষ হয়েছে। স্বল্প খরচে পরিচর্যার মাধ্যমে অধিক লাভজনক হওয়ায় চায়না থ্রি জাতের লিচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় চাষীরা। এ জাতে পোকার আক্রমণ কম ও খেতে বেশ সুস্বাদু। জেলার সাত উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৯৯৩ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ধরা হয়েছে।

লিচু ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান জানান, শহরের কাছে দু-লাখ টাকায় ছয়টি লিচু বাগান কিনেছি। বাজারে বিক্রি করে লাভ হচ্ছে মোটামুটি। লিচু চাষী কমল চাকমা জানান, এক একর পাহাড়ি জমিতে লিচু চাষ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছি। এ মৌসুমে সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় খরচ হয়েছে বেশী। গাছে  ‍মুকুল আসার সময়ে বৃষ্টি না আসায় গাছে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে পানি দিতে হয়েছে। গাছে পানি দেওয়ায় ফলন ভাল হওয়ায় লাভও হয়েছে ভাল। স্বল্প খরচে লাভজনক হওয়ায় গ্রামের অনেকে লিচু  চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. বিমল কুমার প্রামানিক বলেন, পাহাড়ে চায়না থ্রিসহ দেশীয় জাতের লিচু চাষ লাভজনক। সময়মত পোকা মাকড় দমাতে সময়মত কীটনাশ ব্যবহার ও অনাবৃষ্টির কালে গাছে একটু পানি দিলে ফলন ভাল হয়। স্বল্প খরচে পরিচর্যার মাধ্যমে লিচু চাষে অধিক লাভবান হচ্ছে স্থানীয় চাষীরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন