বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি আসিফ ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক হাবিব

fec-image

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় হিলবার্ড মোড় থেকে একটি বিজয় র‌্যালি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মোসাফির পার্কে শেষ হয়।

র‌্যালি শেষে মোসাফির পার্কে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ বান্দরবান জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বান্দরবান জেলা সভাপতি মো: আবুল কালাম। সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাহাদাৎ ফরাজি সাকিব, সাধারণ সম্পাদক মো: আসাদ উল্লাহ, ছাত্র পরিষদের মনিটরিং কমিটির সদস্য শেখ আহাম্মদ রাজু, নাগরিক পরিষদের বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: নাছির উদ্দিন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো: আতাউর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো: মুজিবর রহমানসহ ছাত্র ও নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বান্দরবান জেলা সভাপতি মো: আবুল কালাম বলেন, শান্তিচুক্তির আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনী নামে জেএসএস এর একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ছিল। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৭টি উপজাতীয় সশস্ত্র সংগঠনের কার্যক্রম বিদ্যমান রয়েছে। এসব সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত পাহাড়ের নিরীহ উপজাতি-বাঙালিদের খুন, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানান সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৮% বাঙালিকে পাশ কাটিয়ে সন্তু লারমার সাথে সম্পাদিত পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৫ বছর পরেও পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসেনি। বরং দিনের পর দিন অশান্তি বেড়েই চলেছে। সুতরাং সময় এসেছে শান্তিচুক্তি নিয়ে নতুন করে ভাবার।

তিনি বলেন, পাহাড়ে স্থানীয় শান্তি প্রতিষ্ঠায় শান্তিচুক্তির মধ্যে বাংলাদেশ সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ধারা সমূহ সংশোধন, উপজাতী বাঙালি আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে নতুন করে আলোপ আলোচনার মাধ্যমে শান্তিচুক্তি সংশোধন করা গেলে পাহাড়ে স্থানীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

এসময় হাজার হাজার বাঙালি হত্যাকারী সন্তু লারমার শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, সন্তু লারমা একজন বাঙালি হত্যাকারী এবং রাষ্ট্রদ্রোহী। তার গাড়িতে কখনো জাতীয় পতাকা মানায় না। অবিলম্বে সন্তু লারমাকে গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

বক্তব্য শেষে আসিফ ইকবালকে সভাপতি, সাজ্জাদুল ইসলাম সাকিবকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও হাবিব আল মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ বান্দরবান জেলা শাখার ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদ, বান্দরবান, সভাপতি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন