বান্দরবানে স্থাপিত কারখানার নতুন চায়ের ব্র্যান্ড বাজারে আসছে
বান্দরবানের নামে হতে যাচ্ছে চায়ের নতুন ব্র্যান্ড। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জেলা শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে সুয়ালক ইউনিয়নের সুয়ালক রাস্তার মাথা এলাকায় পৌনে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে চা প্রক্রিয়াজাত কারখানা উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে বার্ষিক ৩লাখ কেজি চা উৎপাদন করা হবে। এর আগে প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা না থাকায় বান্দরবানের চা চাষীরা তাদের উৎপাদিত চা পাতা রাঙামাটি ও রাঙ্গুনিয়ার বাগানিদের কাছে কম দামে বিক্রি করতেন।
মঙ্গলবার নব নির্মিত আধুনিক চা কারখানাটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: জাহাঙ্গীর আল মুস্তাফিজুর রহমান, পিএসসি।
বাংলাদেশ চা বোর্ডর সচিব কুল প্রদীপ চাকমার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার মোহামদ শাহিদুল এমরান পিএসসি, বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ জহিরুল ইসলাম খান, চা বোর্ডের সদস্য ইরফান শরিফ, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক ড. এ কে এম নাজমুল হক।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বান্দরবান চা বোর্ড প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ আমির হোসেন, বান্দরবান চা চাষী, ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি মং ক্য চিং চৌধুরী, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ওসমান গণি, আব্দুর রহিম চৌধুরী, বান্দরবান চা চাষী/ ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান কল্যাণ সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: ইয়াকুব আলী সিকদার, সদস্য বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বর্তমানে বান্দরবানে চট্টগ্রাম ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ প্রকল্পের আওতায় ৩০১ একর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। এতে বছরে ৫০ হাজার কেজির বেশি চা পাতা পাওয়া যায়। আগামী কয়েক বছরে উৎপাদন বাড়লেও যাতে বাজারজাত করার সমস্যা না হয়, কারখানাটি সেভাবে তৈরি করা হয়েছে।
বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বছরে ১৮ লাখ কেজি কাঁচা চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের সক্ষমতা সম্পন্ন কারখানা স্থাপনে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এ ছাড়া কারখানার জন্য ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে কারখানা সার্বক্ষণিক চালু রাখার জন্য ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫০ কেভির জেনারেটরও সংযোজন রয়েছে।