বিজয় দিবস ঘিরে রাঙামাটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়


প্রকৃতির অনিন্দ্য সুন্দর খ্যাত পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে ছয় হাজারের মতো পর্যটকের সমাগম হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে জেলার পর্যটন স্পটগুলো।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় রাঙামাটির সিম্বল খ্যাত ঝুলন্ত সেতু ঘিরে কয়েক হাজার পর্যটক অবস্থান করছে। পর্যটকরা ঝুলন্ত সেতুতে অবস্থান নিয়ে মুঠোফোনে পরিবার-পরিজন নিয়ে সেলফি এবং ছবি তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন, কেউ বা ট্যুরিস্ট বোট ভাড়া করে কাপ্তাই হ্রদ, সুবলং ঝরণার সৌন্দর্য দেখতে ভ্রমণ করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার পর্যটন নগরী সাজেক, সুবলং ঝরণা, পলওয়েল পার্ক, কাপ্তাই উপজেলাসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পটগুলোতে কয়েক হাজার পর্যটক এসেছে। মূলত ১৬ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি থাকায় স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বহুগুণ পর্যটক বেড়েছে।
ঝুলন্ত সেতু দেখতে আসা পর্যটক সুমন সাহা বলেন, আমরা চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা থেকে এসেছি। হ্রদ-পাহাড় দেখে খুব ভালো লাগছে। আবারো আসতে চাই প্রিয় জায়গা রাঙামাটিতে।
চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা মো. শফি আলম বলেন, রাঙামাটি অনেক সুন্দর, দেখার মতো জায়গা, সুন্দর পর্যটন এলাকা, কোন সমস্যা নাই। এছাড়া এখানকার আনারস খেয়ে অনেক সুস্বাদু লেগেছে।
পর্যটক প্রিয়া আক্তার বলেন, জীবনে প্রথম রাঙামাটি বেড়াতে এসেছি। এখানে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। খুব সুন্দর জায়গা।
খাগড়াছড়ির রামগড় থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক নিজাম উদ্দীন লাভলু বলেন, কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ করা, ইতিহাস-ঐতিহ্যর জায়গাগুলো বিশেষ করে চাকমা রাজবাড়ি দেখা তথা জল-পাহাড়ের চমৎকার মিলন সবাইকে মোহিত করে। যার কারণে পর্যটকরা সব সময় এখানে ছুটে আসে।
ট্যুরিস্ট বোট মালিক বাদশা মিয়া বলেন, সবগুলো ট্যুরিস্ট বোট ভাড়া হয়ে গেছে। কোন বোট খালি নাই। এভাবে সারাবছর পর্যটক থাকলে খুব ভালো লাগে।
জেলা শহরের দোয়েল রেস্তোঁয়ার ম্যানেজার কুদ্দুস আলী বলেন, ট্যুরিস্ট আসায় সকাল-সকাল সকল নাস্তা শেষ হয়ে গেছে। ভালো বিক্রি হয়েছে।
রাঙামাটি পর্যটক করপোরেশনের ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, রাঙামাটিতে ছয় হাজার পর্যটকের সমাগম হয়েছে। ভালো রাজস্ব পাবো। এ মাসে হোটেল-মোটেলগুলো আশি ভাগ বুকিং রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক মাস পর্যটক মৌসুম। আশা করছি ভালো ব্যবসা করতে পারবো।

















