‘বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে’
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর নির্বাচনে ‘নৌকা’র প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী খাগড়াছড়ি পৌরসভাকে মেয়র মো: রফিকুল আলমের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের কারণে সরকারের বরাদ্ধে জনগণের কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। বরং জনগণের আকাঙ্খার সাথে প্রতারণা করেছেন। দফায় দফায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হলেও শহরের অধিকাংশ জনগুরুত্বপূর্ন সড়ক অলিগলি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঠিকাদারদের পাওনা প্রদানে অহেতুক গড়িমসির কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। তাই জনবান্ধব পৌরসভা গঠন এবং অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পরিবর্তনের বিকল্প নেই।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি শহরের নারিকেল বাগান সড়কে জেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে পৌরসভায় বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে নিয়ম অনুসরণ করে ঠিকাদার কাজ বন্টনসহ পৌরসভাকে জনকল্যাণমূখী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
পৌর মেয়র নির্বাচিত হলে নির্মলেন্দু চৌধুরী খাগড়াছড়িতে শান্তি-সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সমবন্টনে সকল ক্ষেত্রে কার্যক্রম পরিচালনার কথা ব্যক্ত করেন।
সভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বর্ষীয়াণ রাজনীতিক-বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য ও মেয়র রফিকুল আলম কেন্দ্র থেকে দলের মনোনয়ন ফরম কিনে তা জমাও দিয়েছেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় দলের প্রতীক পাবার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে সাক্ষাতকারও দিয়েছেন। প্রতীক না পেয়ে তিনি নানারকম মিথ্যাচার করছেন। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে যেহেতু অবস্থান নিয়েছেন, সেহেতু অতি শিগগির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য-সচিব ও জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া বলেন, রফিকুল আলম পৌর এলাকায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্যের আশ্রয় নিয়েছেন। নিজের এবং কাছের মানুষদের সুবিধা দিতে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। জোর করে মানুষের রেকর্ডিংয়ের জায়গায় সড়ক নির্মাণ করেছেন। কিন্তু কাউকে কোন ক্ষতিপূরণ দেন নি।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: দিদারুল আলম ও পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শানে আলম, মাটিরাঙা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন মোরশেদ খান এবং রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা।