বিভাষ সেনগুপ্ত জিগমী বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজারের সঙ্গীত প্রযোজক
রামু প্রতিনিধি:
কক্সবাজার বেতার কেন্দ্রের সঙ্গীত প্রযোজক হিসেবে তালিকাভূক্ত হয়েছেন বিভাষ সেনগুপ্ত জিগমী। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বেতারের কেন্দ্রে অডিশনের আলোকে খ শ্রেণীর চুক্তিভিত্তিক সঙ্গীত প্রযোজক হিসিবে তিনি তালিকাভূক্ত হয়েছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর প্রেরিত বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে শিল্পী বিভাষ সেনগুপ্ত জিগমীকে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সঙ্গীত ভবন রামু ও কক্সবাজার শাখার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিভাষ সেনগুপ্ত জিগমী ১৯৬৫ সালের ২ আগস্ট চট্টগ্রামের ও আর নিজাম রোডের জন্মগ্রহণ করেন। সঙ্গীত ভবন চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মৃত ওস্তাদ প্রিয়দারঞ্জন সেনগুপ্ত ও মৃত বনবিথী সেনগুপ্তার ছোট ছেলে বিভাষ সেনগুপ্ত জিগমী বাবা-মায়ের কাছে সঙ্গীতের শিক্ষা নেন শিশুকালেই। শিশুশিল্পী হিসেবে তবলায় জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। বাবা-মায়ের আদর্শকে লালন করে বিভাষ সেনগুপ্ত জিগমী ১৯৮৮ রামু উপজেলায় ও ২০০১ কক্সবাজার শহরে সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সঙ্গীত ভবন’ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নিয়মিত পল্লীগীতি শিল্পী তিনি। রবীন্দ্র-নজরুল সঙ্গীত ও তবলা বাদন চর্চায় ব্রতী বিভাষ সেনগুপ্ত জিগমী নাট্য আন্দোলনের সাথেও জড়িত। কক্সবাজার থিয়েটারের সদস্য হিসেবে নাট্যমঞ্চে নিয়মিত অভিনয় করেন তিনি।
দু’ছেলের জনক বিভাষ সেনগুপ্ত জিগমী কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত। ছোট ছেলে তুলিপ সেনগুপ্ত সূর্য কিশোর বয়সেই সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে সুনাম অর্জন করছেন। বড় ছেলে তুর্য সেনগুপ্তও সঙ্গীত চর্চা করেন। রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত স্ত্রী অর্চনা দে সেবায় জাতীয়ভাবে স্বর্ণ পদক পেয়েছেন।
বিভাষ সেনগুপ্ত জিগমীর পুরো পরিবারটিই একটি সঙ্গীতের পরিবার। বড় বোন সঙ্গীত শিল্পী পুরবী সেনগুপ্তা, বড় ভাই তবলা বাদক দীপক সেনগুপ্ত, মেঝ ভাই প্রদীপ সেনগুপ্তর মৃত্যুর পরে ঐতিহ্যময় এই সঙ্গীত পরিবারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের ‘সঙ্গীত ভবন’ এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেঝ বোন কাবেরী সেনগুপ্তা।