ভালোবাসার বিয়ে, বিপাকে নবদম্পতি

fec-image

কক্সবাজার মহেশখালী উপেজেলার মিজু মং এর ছেলে ছওয়াং রাখাইন (২৩) এবং রাঙ্গামাঠির বাঘাইছড়ি উপজেলার থোইসাং রাখাইন এর মেয়ে নুনুই রাখাইন (১৯) ভালবেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

ভালোবেসে বিয়ে করে বিপাকে পড়েছেন এই নবদম্পতি। এই নবদম্পতি এখন পুলিশি হয়রানি এবং মেয়ের পরিবারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

নবদম্পতির দাবি, দীর্ঘদিনের পরিচয় জানা-শোনা এবং প্রেমের পরিণয় থেকে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা দু’জন। কিন্তু অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ তুলে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে তাদের।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে কক্সবাজার শহরে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের বিবাহ বন্ধনকে সম্পূর্ণ বৈধ দাবি করেন ছওয়াং রাখাইন ও নুনুই রাখাইন নবদম্পতি । তারা কেউ কাউকে অপহরণ করেনি বরং স্বজ্ঞানে, স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন বলে জানান।

নুনুই রাখাইন বলেন, আমার স্বামী ছওয়াং রাখাইন । আমাদের দু’জনের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমরা গত ১৯ এপ্রিল সরকারি বিধি মোতাবেক বিবাহ নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী রেজিস্টার ও এফিডেভিট করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। কেউ আমাকে বা আমাদেরকে প্ররোচিত ও অপহরণ করেনি। আমি আমার স্বামীকে পেয়ে খুবই খুশি। আমি এখন স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে সুখে সংসার করতে চাই। এজন্য আমার বাবা থোইসাং রাখাইন এবং চাচাসহ পরিবারের সকলের কাছ থেকে আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি। আমার বিয়ে সংসার নিয়ে কেউ যদি কোনো প্রতিবদ্ধকতা বা বিবাদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য থাকবো।

অন্যদিকে নুনুই রাখাইনের স্বামী ছওয়াং রাখাইন বলেন, আমরা দুজন মহেশখালী পৌরসভায় বসবাস করতাম এবং ওই এলাকার বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই একে অপরকে চেনা। অনেক দিনের চেনাজানা, ভালো লাগা ও ভালোবাসার সম্পর্ককে চিরস্থায়ী করতে দাম্পত্য জীবন গড়ার লক্ষ্যে আমরা বিয়ে করেছি। কিন্তু এখন মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারে আমরা দুজন বিপাকে পড়েছি। আমরা দুই জনে প্রাপ্ত বয়স্ক আমরা দুই জনেই নিজেদের বিবেচনায় সিদ্বান্ত নিয়ে আমরা বিয়ে করেছি।

এই নবদম্পতি পুলিশি হয়রানি ও মামলার ভয়ভীতি থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের কাছে সহায়তা চান।

এদিকে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় একটি অপহরণ করেছে মর্মে মামলা দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগে মেয়ের বয়স লিখা হয়েছে মাত্র ১৬ বছর কিন্তু তার জন্ম সনদে বয়স রয়েছে ১৯ বছর।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নবদম্পতি, বিপাকে, ভালবাসা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন