ভাসানচর থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিবিরে পালিয়ে আসালো দশ রোহিঙ্গা
ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা দুই রোহিঙ্গা পরিবারের ১০ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
২৯ জুলাই ৬টার দিকে মধুরছড়া ৪নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের ১৬ নম্বরের এফ ব্লক থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ১৪ এপিবিএন সদস্যরা।।
আটককৃতরা হলেন, তৎকালীন ওই শিবিরের আশ্রিত মো. আমিনের ছেলে ফয়জুল ইসলাম (২৯) স্ত্রী মাজিদা বেগম (২৫) ও তাদের ছেলে ইয়াছির (৭), কায়সার (৩), নুর ফাতেমা (৫) ও আমিনের অপর ছেলে জাহিদ হোসেন (৩০) স্ত্রী আসমা খাতুন, তাদের সন্তান সৈয়দ হোসেন(৯), হামিদ হোসেন(২), আয়াছ ফাতিমা(৪)। তারা শিবিরে ফেরার আগেই ভাসানচরের -ক্লাস্টার ই-৭৫ এ বসবাস করতেন।
১৪ এপিবিএন অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, ভাসানচর থেকে দুই পরিবারের ১০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে পালিয়ে তৎকালীন শিবিরে অবস্থান করছেন। এমন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের বরাত দিয়ে এসপি জানান ফয়জুল ও জাহিদ তারা আপন ভাই হয়। গত ৩০ এপ্রিল ভাসানচরে যান তারা। সেখানে কিছুদিন থাকার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে কোন পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। সেই সাথে অনেক লোক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। ভাসানচরে কাজকর্ম করারও কোন সুযোগ সুবিধা নেই। সেখানে শুধুমাত্র জনপ্রতি ১৩কেজি চাউল, আলু, তেল ও হলুদ মরিচ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আর কোন তরকারি বা মাছ মাংস কিছু দেওয়া হয়না। তারা অনেক কষ্টে জীবনযাপন করতে হয়েছে। ভাসানচরে থাকাকালে জাহিদ ও ফয়জুল মাছ ধরার জন্য পাশের জলধারে গেলে সেখানে সন্ধীপের নৌকার মাঝিদের সহিত পরিচয় হয়। সেই কথিত মাঝি দালালদের মাধ্যমে দুই পরিবার ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাসানচর হতে চট্রগ্রামের উপকূলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চুক্তি হয়।তবে তারা নৌকার মাঝিদের কোন নাম ঠিকানা জানেননা।
গত ১৩ দিন ব্যয় করে বিরতি নিযে এই খানে পৌঁছেন। তাদেরকে আটকের পর ওই শিবিরের ক্যাম্প ইনচার্জ সিআইসির সাথে আলোচনাক্রমে ক্যাম্প -৪(এক্সঃ) কোয়ারেন্টিন সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্নভাবে এখন পর্যন্ত প্রায় ২’শ রোহিঙ্গা পালিয়ে শিবিরে চলে এসেছে বলে জানা গেছে।