মণিপুরে সেনাবাহিনী মোতায়েন, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ

fec-image

ভারতের মণিপুরে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা দমনে রাজ্য সরকার ‘দেখামাত্র গুলির’ নির্দেশ জারি করেছে। বৃহস্পতিবার (৪ মে) এই নির্দেশ জারি করা হয়। স্থানীয় আদিবাসীদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনায় চলমান সহিংসতায় গ্রাম ছাড়া হয়েছেন ৯ হাজারের বেশি মানুষ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী ও আসাম রাইফেলের সদস্যদের মোতায়েন করা হচ্ছে সহিংসতা দমনের জন্য।

এক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র বলেছেন, পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর যদি আবারও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে তা মোকাবিলার জন্য ১৪ কলাম সেনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (আরএএফ) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। দাঙ্গা মোকাবিলার জন্য এই বিশেষ বাহিনীকে গড়ে তোলা হয়েছে।

সূত্রের বরাত দ্য হিন্দু জানিয়েছে, সন্ধ্যায় ইমফল বিমানবন্দরে আরএএফ সদস্যরা অবতরণ করেছে।

‘দেখামাত্র গুলির’ নির্দেশ জারি করেছেন মণিপুরের গভর্নর। নির্দেশে বলা হয়েছে, শান্ত করার চেষ্টা, সতর্কতা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরিমিত শক্তি প্রয়োগের পরও ব্যর্থ হলে ম্যাজিস্ট্রেটরা গুলির নির্দেশ দিতে পারবেন।

বুধবার মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়নের তরফে চুরাচন্দ্রপুরের তোরাবাঙ্গ এলাকায় আদিবাসী ঐক্য মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মেটেই জাতিকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। পুলিশের ভাষ্য, হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে অংশ নিয়েছিল। সে সময় স্থানীদের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয়।

বিদ্যমান আইন অনুসারে, মেটেইদের রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলে বসতি স্থাপনের অনুমতি নেই।

ইমফলের কিছু অংশে বৃহস্পতিবারও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। সহিংসতার পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৯ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা করে সেনা ক্যাম্প এবং সরকারি অফিস চত্বরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ভারত, মণিপুর
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন