মহালছড়ি উপজেলা ভবন: নির্মাণ ব্যয় ১৯ লাখ সংস্কার ব্যয় ২৭ লাখ

01 (04-03-2014)

আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা ভবন সংস্কার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ২৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এলজিইডির মাধ্যমে দরপত্র আহবান করেই অনেকটা গোপনীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শুরু হয় এ সংস্কার কাজ। দ্বিতল ভবনে ১১টি কক্ষে টাইলস,সংস্কারসহ পানি সরবরাহের কাজে ব্যবহার হয় এ অর্থ। অভিযোগ উঠেছে এ কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে সাবেক ইউএনও ও এলজিইজির কর্মকর্তার দহরম-মহরম থাকায় ব্যাপক অনিয়ম হলেও তা এড়িয়ে বিনিময়ের মাধ্যমে ইতিমধ্যে বিল উত্তোলনের কাজও শেষ হয়েছে।

স্থানীয় সুত্রগুলোর অভিযোগ, এ ভবন তৈরীতে ১৯ লক্ষ টাকা ব্যয় হলেও বর্তমানে সংস্কার করতে খরচ হচ্ছে ২৭ লক্ষ টাকা, যা অবিশ্বাস্য। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, এ কাজের জন্য চার ঠিকাদার টেন্ডারসিট (সিডিউল) ক্রয় করলেও ব্যক্তিগত স্বার্থ ও অতিরিক্ত অর্থের জন্য চুক্তিতে রূপান্তর চাকমা নামের এক ঠিকাদারকে এ কাজ দেওয়া হয়। মুলত রূপান্তর চাকমা ঠিকাদারী লাইসেন্স দিয়ে ঐ কাজ করেন লাব্রেচাই মারমা নামের এক ব্যাক্তি। এ কাজের জন্য -রাঙ্গামাটির তবলছড়ির মজিবুল হক, খাগড়াছড়ির মিলনপুরের এইচ অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা, মহালছড়ির কাঞ্চন শীল ও খাগড়াছড়ির মহাজনপাড়ার রূপান্তর চাকমার লাইসেন্স দিয়ে লাব্রেচাই মারমা দরপত্র ক্রয় করেন।
৭ মার্চ ১৩ দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ১৪ মার্চ-২০১৩ দৈনিক মাতৃভাষা, ১৪ মার্চ ডেইলী লাইফ ও ১৫ মার্চ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকা চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকায় বিজ্ঞাপনগুলো প্রকাশিত হয়। অথচ যে সকল পত্রিকায় এ দরপত্র বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়েছে তা এ জেলায় আসাতো দুরের কথা অনেকেই এ ২টি পত্রিকার নামও জানে না। পরে এলজিইডির ১৬ এপ্রিল কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদার লাব্রেচাই মারমা ২৩ এপ্রিল কাজ শুরু করে ৬ জুন-১৩ কাজ শেষ করে। এতে দেখা যায়-ঠিকাদার ২৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬৫১ টাকা ব্যায়ের বিল উত্তোলন করেন ২৬ জুন।
এদিকে স্থানীয় ঠিকাদার ছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের অনেক কর্মচারী এ কাজে অনিয়মের কথা স্বীকার করলেও তা প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছেন না। কারন বড় বাবুরা এতে অর্থের লেন-দেনে জড়িত।
এ বিষয় নিয়ে মহালছড়ি উপজেলা এলজিইডি আছাদুজ্জামান এর সাথে কথা হলে, তিনি এ কাজে কোন ধরনের অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন কাজটি সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। এতে কোন ধরনের অনিয়ম আমার জানা মত হয়নি।
এদিকে এ বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লাবনী চাকমা জানান, এ কাজ নিয়ে বেনামে একটি লিখিত অভিযোগ থাকায় জেলা প্রশাসক থেকে আমাকে তদন্ত করার ভার দেয়ায় আমি তদন্ত করেছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন