মাটিরাঙায় গণ-টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন

fec-image

পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে শতভাগ করোনা টিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণটিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম জোরদার করনের লক্ষ্যে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সুপারিশক্রমে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার ২৮ কেন্দ্রে একযোগে গনটিকা কর্মসুচীর উদ্বোধন করা হয়।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদে গণটিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও মাটিরাঙা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিরন জয় ত্রিপুরা।

কর্মসুচীর উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রের চেয়ে করোনা ভ্যাকসিন প্রদানে অনেক দূর এগিয়ে বাংলাদেশ, আর সেটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণেই। করোনা মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে এমন সমালোচনা মিথ্যা প্রমান করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সকলের জন্য করোনা ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছেন।

মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র ত্রিপুরা, আওয়ামীরীগ নেতা প্রীতিময় ত্রিপুরা, ইউপি মেম্বার শান্তি ময় ত্রিপুরা, অমৃত ত্রিপুরা, ধর্মজ্যোতি ত্রিপুরা ও দিপার মোহন ত্রিপুরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় গনটিকা কেন্দ্রে দুর্গম জনপদের মানুষের উপচেপড়া উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এর আগে সকাল ৯টার দিকে মাটিরাঙ্গা পৌরসবা ভবনে গনটিকা কর্মসুচীর উদ্বোধন করেন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক।

এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের কারনেই বাংলাদেসের মানুষ আজ সুরক্ষিত। এসময় মাটিরাঙ্গা পৌরসবার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী ও মো. এমরান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গনটিকা প্রদান কার্যক্রমকে সফল করতে যুব রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টিকা ককেন্দ্র গুলোতে সহযোগিতা করছে। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, আনসার-ভিডিপি ও গ্রাম পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্হ্য কর্মকর্তা ডা. খায়রুল আলম জানান, মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ২৮টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫শ গণ-টিকা প্রদান করা হবে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ টিকাদান কর্মসূচি চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ের পরেও যদি কোন কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড় থাকে তাহলে সময় বাড়ানো হবে এবং সবাইকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন