মাটিরাঙ্গায় হলুদ ক্ষে‌তে কয়লা খনির সন্ধান

fec-image

দুর্গম পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছ‌ড়ির মা‌টিরাঙ্গায় মাটি খুঁড়ে কয়লার সন্ধান পেয়েছে স্থানীয়রা।

মাটিরাঙ্গা সদর হ‌তে প্রায় ২৭ কি‌লোমিটার উত্ত‌রে আমতলী ইউনিয়ন থেকে ৫ কিলোমিটারেরও বেশি সরু আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ আর ঝিরি অতিক্রম করে ৮নং ওয়ার্ডের দুর্গম বামা গোমতী নামক এলাকায় সম্ভাব্য কয়লার খনির সন্ধান পাওয়া গে‌ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে কয়লা বের করে এনে তারা বাসা বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন। তবে সেখানে বেশ কয়েকটি জায়গায় এমন কয়লা আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, বছর খা‌নেক আগে দুর্গম পাহাড়ে হলুদ চাষ করার উদ্দেশ্যে মাটি খনন করতে গিয়ে এ কয়লার সন্ধান পান তারা। ইতোমধ্যে এসব কয়লা সংগ্রহ করে তারা রান্নাসহ বি‌ভিন্ন কা‌জে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন।

কালো সোনা খ্যাত কয়লার খনি দেখতে স্থানীয়রা প্রতিদিন সেখানে ছুটে গেলেও এখনো তা প্রশাসনের নজরে আসেনি।

বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (জিএসবি) একটি অনুসন্ধানী টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নমুনা সংগ্রহ করে ওই স্থান থেকে কয়লার নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষা -নিরিক্ষা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় কৃষক হানিফ মিয়া বলেন, প্রায় বছর খানেক আগে আদা-হলুদ রোপণের জন্য মাটি খনন করতে গিয়ে কয়লা দেখতে পাই। পরে এসব কয়লা সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। অন্যদের জানালে অনেকেই আগ্রহী হয়ে সেসব কয়লা সংগ্রহ করে পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছে।

আমতলী ইউপির সদস্য মো. আলমগী হোসেন বলেন, কয়লা পাবার বিষয়টি যাচাই বাছাই করে কয়লা উত্তোলন করা হলে দেশের কয়লার ঘাটতি পূরন হবে। দুর্গম পাহাড়ে কয়লা পাওয়ার বিষয়টি সঠিক হলে তা পাহাড়ের বড় পাওয়া হবে বলেও মনে করেন তিনি।

মাটি খুঁড়ে পাওয়া কয়লা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গণি বলেন, বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হলে দেশে বিদ্যমান কয়লা ঘাটতি পূরণ হবে। বিদ্যুতের যে জ্বালানী সঙ্কট রয়েছে তাও দুরীভূত হবে। পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলেও মনে করেন তিনি।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউপির বামা গোমতী এলাকায় কয়লা পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয়রা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলব বিষয়টি তদন্ত করে আমাদের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হব।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন