মানিকছড়ি ‘ডিসি পার্কে’ প্রকৃতিপ্রেমীদের তাঁবুতে রাত্রীযাপন

fec-image

খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার পর্যটনখ্যাত ‘ডিসি পার্কে’ এই প্রথম প্রকৃতিপ্রেমী ১৫০ জনের একদল পর্যটক খোলা আকাশের নিচে তাঁবু বানিয়ে রাত্রীযাপন করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার (২ফেব্রুয়ারী) বিকেলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমী যুবকদের প্রিয় সংগঠন ‘দ্বি চক্রযানের’ (সাইকেলে ভ্রমণ) ১৫০জনের একঝাঁক যুবক ‘ডিসি পার্কে’ আসেন। তারা নিজ উদ্যোগে এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্জন এলাকায় তাঁবু ঝুলিয়ে রাত্রিযাপনের আয়োজন করেন। রাতে গাছের শুকনো পাতায় আগুন ধরিয়ে শীত নিবারনের পাশাপাশি পড়োটা, সবজি, মাংসে রাতের খাবার খান। শুক্রবার সকাল থেকে লেকে দু’পাড়ে গাছে রশি ঝুলিয়ে পারাপারসহ আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন।

শীতের তীব্রতায় পাহাড়ের প্রকৃতির নির্জনে তাঁবুতে রাত্রিযাপনের অনুভুতি জানতে চাইলে দ্বি চক্রযানের সিনিয়র সদস্য মো. শাহাপ হোসেন বলেন, আমাদের দ্বি চক্রযানের সদস্যরা সারাদেশের প্রকৃতি দেখতে সাইকেল নিয়ে ঘুরি। মানিকছড়ি উপজেলার সবুজ অরণ্যঘেরা ডিসি পার্কে এসে প্রশাসনের সহযোগিতা আর সবুজ বনের পরতে পরতে লেক আর অতিথি ও ডাহুক পাখির কলকাকলীতে মূখরিত পরিবেশে আমরা সত্যি উচ্ছ্বসিত হয়েছি। নিরাপত্তাসহ সকল আয়োজনে প্রশাসন আমাদের পাশে থেকে উৎসাহ জুগিয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও দ্বি চক্রযান সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ডলু মৌজার ১৪২ একর টিলাভূমির সবুজ বনাঞ্চল ও অসংখ্য পাহাড়ি লেকে ঘেরা নির্জন অরক্ষিত জনপদে ২০২০ সালে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ‘ডিসি পার্ক’ নামকরণে পর্যটন এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর সেখানকার জলাশয়, সবুজ বনাঞ্চলে বিশ্রামাগার, গোলঘর, নিরাপত্তা ছাউনি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ পর্যটক বান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে মাস্টারপ্ল্যান পরিকল্পনা হাতে নেয় উপজেলা প্রশাসন।
ইতোমধ্যে জেলার পর্যটনখ্যাতে ডিসি পার্কের নয়নাভিরাম সবুজ প্রকৃতি পর্যটকপ্রেমী দৃষ্টি কাঁড়তে সক্ষম হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী বলেন, উপজেলার ২১৪ নম্বর ডলু মৌজায় অরক্ষিত সরকারী বনাঞ্চলে সম্প্রতিকালে ডিসি পার্ক নামকরণে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার কাজ চলছে। এরই মধ্যে এখানকার সবুজ প্রকৃতি পর্যটকদের দৃষ্টিকাড়তে শুরু করেছে। ফলে আমার সুপরিচিত একদল সাইকেলে ভ্রমণপ্রেমী তাঁদের দ্বি-চক্রযানের ১৫০জন সদস্যরা এই নির্জন সবুজ অরণ্যে আনন্দঘণ পরিবেশে সংগঠনের বার্ষিক বনভোজন উদযাপন করে গেছেন। আমরা তাদের নিরাপত্তাসহ পাশে থেকে একটু আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন