মিজোরামে চীন সমর্থনে মিছিল, প্রজাতন্ত্র দিবস বর্জনের ডাক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই এক জোট হয়ে প্রতিবাদ করে আসছে মিজোরামের সব দল ও সংগঠন। কিন্তু কেন্দ্রের প্রয়াসের বিরুদ্ধে এবার ‘চিন জিন্দাবাদ’ স্লোগান-পোস্টারে মিছিল বের হয়েছে মিজরাম রাজ্যের আইজল জেলায়। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানও বয়কটের হুমকি দিয়েছে সংগঠনগুলো।
বৃহস্পতিবার(২৪ জানুয়ারি) আইজলে নেসো, এমজেডপি, ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াইএমএ)-মিলে একটি যৌথ মিছিল বের করে। মিছিলে অনেকের হাতে ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’ লেখা পোস্টার দেখা যায়। বেশ কিছু পোস্টারে ছিল চিনা অক্ষর।
নেসোর নেতা রিকি লালবিয়াকমাওইয়ার মতে, বিল নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। তাই কেউ কেউ হয়তো মনে করছেন, ভারত সরকার যখন আমাদের কথা শুনছে না, তখন চীনের প্রতি হাত বাড়ানোই ভালো। বৃহস্পতিবারের এ মিছিলে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, শুক্রবারেও(২৫ জানুয়ারি) অসমের বিভিন্ন অংশে চলেছে বিল-বিরোধী আন্দোলন। বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সামনে অনশন করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, অসম আন্দোলনে শহীদ হওয়া ৮৫৫ জনের পরিবারকে রাজ্য সরকার যে স্মারক দিয়েছিল তা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শহীদদের পরিবারগুলো। শুক্রবার(২৫ জানুয়ারি) তেজপুর শহীদ পরিবার সমন্বয়রক্ষী পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারির আগেই রাজ্য সরকারের দেওয়া স্মারক ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে পরিষদ সূত্রে জানানো হয়েছে।
এ আন্দোলনের পাশাপাশি বিজেপি শুক্রবার(২৫ জানুয়ারি) বিজয়ী পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের অভিনন্দন সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী, ‘‘ছয় জনগোষ্ঠীর তফশিলভুক্তি ও অসম চুক্তির ষষ্ঠ ধারা রূপায়ণ হলে তবেই অসম সুরক্ষিত হবে।’’ তাঁর মতে, একদল পেশাদার আন্দোলনকারী সরকারের সব পদক্ষেপ নিয়েই মানুষকে ভুল বোঝাতে ব্যস্ত। তার পরেও বিজেপিই লোকসভায় জিতবে।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল অসমবাসীকে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘‘মানুষ পাশে আছেন, সেই সাহসেই বিলকে সমর্থন করছি। বিলটি গোটা দেশের জন্য প্রযোজ্য। শুধু অসমের জন্য নয়।’
তথ্যসুত্র: আনন্দবাজার।