‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্মকারীদের ছাড় দেয়া হবেনা’

fec-image

মেহেদী হাসান মেহেদী বলেছেন, ‌‌মুক্তিযুদ্ধকালে খাগড়াছড়ির অবদান অনস্বীকার্য। এটা এ জেলাবাসীর জন্য অত্যন্ত গর্বের ও গৌরবের বিষয়। চাকরি-বাকরির মুক্তিযোদ্ধাদের নাম যারা ফায়দা লুটানোর চেষ্টা চালাবে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং মুক্তিযোদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্মকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবেনা। সেই সকল ফায়দা লুটানোকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। কঠোরভাবে দমন করা হবে। আপনারা তথ্য প্রমাণসহ সে সকল লোকদের চিহ্নিত করুন। আমাকে জানান।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি’র অডিটোরিয়ামে “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই আমাদের অঙ্গিকার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড খাগড়াছড়ি জেলা শাখা’র উদযোগে এক জরুরি বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অবদান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত ধাপ মুক্তিযুদ্ধ। আর এই মুক্তিযুদ্ধ কী? কেনইবা লাল সবুজের এমন সুন্দর দেশটা স্বাধীন করতে আমাদের এমন কঠিন ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের প্রযোজন হয়েছিল তার বিশদ বর্ণনা সমৃদ্ধ এই মুক্তিযুদ্ধের গল্পকথা। বন্ধুরা আজ আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্পকথায় বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে স্বল্প পরিসরে আলোচনা করবো। তাহলে এসো শুনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অসামান্য অবদানের জন্য বাঙালির জাতির পিতার আসনে তিনি অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ধাপে ধাপে তিনি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বের শীর্ষ আসনে চলে আসেন। হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে সকলের অগ্রভাগে থেকে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে আলোর পথ দেখিয়েছেন। তার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের সোনার ফসল এই স্বাধীন বাংলাদেশ।

সভায় খাগড়াছড়ি জেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি নরোত্তম দাশ বৈষ্ণব’র সভাপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি মেহেদী হাসান মেহেদী এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা।

খাগড়ছড়ি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় মঞ্চে প্রধান অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন কেথিনা ত্রিপুরা, অর্পিতা ত্রিপুরা, অঞ্জলী বৈষ্ণব, হিলারী ত্রিপুরা, মিরা দেবী, কনপ্রভা, রুমি মার্মা। পরে ফারজানা আক্তার সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের মাধ্যমে যে জাতি একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র, পেয়েছিল তাঁদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেত্রী মাকসুদা সুলতানা, কেন্দ্রীয় নেতা মো. শহীদুল ইসলাম, মো. হেলাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম
জেলার সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক প্রমুখ।

এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার সভাপতি জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন