মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় তিন আসামীর ২ দিনের রিমান্ড

fec-image

রোহিঙ্গা নেতা মো. মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় তিন আসামীর দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

তারা হলেন, ক্যাম্প- ১/ইস্ট ব্লক-ডি-৮ এর আব্দুল মাবুদের ছেলে মো. রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন, একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ এবং ক্যাম্প-১/ওয়েস্টের বি-ব্লকের নুর সালামের ছেলে নুর মোহাম্মদ।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাহউদ্দিন।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে আবেদন শুনানি শেষে প্রত্যেকের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক মুহাং হেলাল উদ্দিন।

গত শনিবার (২৩ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে লম্বাশিয়া পুলিশ ক্যাম্পের অধীন লোহার ব্রীজ এলাকা থেকে মুহিবুল্লাহ কিলিং স্কোয়াডের সদস্য আজিজুল হককে গ্রেফতার করে এপিবিএন সদস্যরা। এ সময় তার নিকট থেকে ১টি ওয়ান শুটারগান এবং ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। আজিজুল হক হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তার প্রদত্ত তথ্য মতে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজ অফিসে মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। এ হত্যা মামলায় নয় জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

১৪ এপিবিএন অধিনায়ক এসপি মো. নাইমুল হক বলেন, কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ধৃত আসামি আজিজুল হক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মাস্টার মহিবুল্লাহকে হত্যার দুইদিন আগে অর্থাৎ ২৭ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১০টায় লাম্বাশিয়া মরকজ পাহাড়ে একটি মিটিং হয়। ওই মিটিংয়ে কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া ধৃত আসামি আজিজুল হকসহ আরও ৪ জন উপস্থিত ছিল। তথাকথিত দুর্বৃত্তদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মহিবুল্লাহকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে মর্মে ওই মিটিং এ আলোচনা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয় যে, মাস্টার মহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের বড় নেতা হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন সংক্রান্তে বিশেষ ভূমিকা পালন করায় দিনে দিনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়ে উঠেছে। তাকে থামাতে হবে। পরবর্তীতে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী এশার নামাজের পর মাস্টার মহিবুল্লাহ তার শেডে ফিরে গেলে মুরশিদ আমিন তাকে নিজ শেডের বাইরে ডেকে নিয়ে প্রত্যাবাসন বিষয়ে কথা বলে এবং কিছু লোক তার সাথে অফিসে কথা বলবে মর্মে অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে পরপর ৪টি গুলি করে মুহিবুল্লাহর মৃত্যু নিশ্চিত করে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন