যুদ্ধ কখনোই দেশের উন্নয়ন করতে পারে না : রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার

fec-image

রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইফতেকুর রহমান, পিএসসি বলেছেন, যুদ্ধ কখনোই দেশের উন্নয়ন করতে পারে না। ইতিপূর্বে প্রায় ২১ বছর ধরে পাহাড়ে ভ্রাতৃত্বঘাতি যুদ্ধ হয়েছে ও রক্তপাত হয়েছে। তারপরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি করেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী উদার মন নিয়ে সকল সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এমন একটি চুক্তি করলেন যাতে সবাই শান্তির দারপ্রান্তে উপনীত হতে পারি। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা পাহাড়ে ফলপ্রসূ শান্তি আনতে পারবো এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারবো। এজন্য প্রয়োজন ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ঐকান্তিক ইচ্ছা।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাঙ্গামাটি জোনের ব্যবস্থাপনায় ও রাঙ্গামাটি রিজিয়নের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে সকলে একসাথে কাজ করবো। জনপ্রতিনিধি, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশের জনগণ তাদের সবাইকে নিয়ে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো এটিই তার দৃঢ় বিশ্বাস ।

সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পার্বত্য চুক্তির আগে মনে হতো একটি খাঁচার মধ্যে বন্দি আছি। দিনের বেলায়ও এই উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যেতে পারতাম না। সেনাবাহিনী, পুলিশসহ সাধারণ মানুষ নিয়মিত অপহরণ হতো। আতঙ্কে কোথাও যাওয়া যেত না। অনেক সরকার আসছে, গেছে কিন্তু তাদের স্বদিচ্ছা না থাকায় এই অঞ্চলে শান্তি আনতে পারিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদিচ্ছার কারণে এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির আগে এই অঞ্চল ছিল আতঙ্ক, অশান্তি, আর সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ভরপুর। পার্বত্য অঞ্চলের অশান্ত পরিবেশ থেকে যে শান্তির সূচনা হয়েছে তা একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারণে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম, পিএসসি, রাঙ্গামাটি বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার এএস ফয়সাল, জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির (পিপিএম সেবা), জেলা ত্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আযম, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মহসিন রোমানসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি, নৌবাহিনী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর আগে পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন কাপ্তাই হ্রদের মধ্য টিলা হতে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত বিশেষ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলকে বিশেষ পুরষ্কার দেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন