রাঙ্গামাটিতে কার্বারীর সালিশে কিশোরীকে মারধর

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নে বড় আদাম গ্রামে কার্বারীর (গ্রাম প্রধান) সালিশে ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া এক কিশোরী ও তার মামাকে মারধর করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরীর গুরুতর আহত মামাকে (২৭) মঙ্গলবার রাতে এবং ওই কিশোরীকে (১৪) বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

গ্রামের কার্বারী অমর শান্তি চাকমা দুজনকে মারধরের কথা স্বীকার করে জানান, আহতদের এই অবস্থা হবে তা তিনি বুঝতে পারেননি। আহতদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে তিনি দাবি করেন। স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোরীর মামা ও অমর শান্তি চাকমার মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে কয়েক বার সালিশ হয়েছে। বর্তমান এমপি উষাতন তালুকদার এই সালিশ করেছিলেন। সালিশে ওই কিশোরীর মামার পক্ষে রায় দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য অমর শান্তি পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করতে পারে।

 

ওই কিশোরী জানান, প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শেষে বিকেলে বাড়িতে আসার পথে এলাকার কয়েকজন যুবক তাকে ধরে নিয়ে কার্বারীর বাড়িতে নিয়ে মারধর করে। কার্বারীর আদেশে তাকে মারধর করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। কিশোরীর মামা জানান, বাড়ি থেকে তাকে ডেকে নিয়ে মারতে মারতে কার্বারীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মারতে মারতে আহত করে ওই কিশোরীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে স্বীকারোক্তি নেয়া হয়।

 

কিশোরীর বাবা জানান, তার মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। মেয়েকে কোন হাসপাতালে নিতে তাকে নিষেধ করা হয়েছে। মেয়ের অবস্থার অবনতি হলে তিনি তাকে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে নিয়ে যান।
মগবান  ইউপি চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি চাকমা বলেন, আহতদের রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা সুস্থ হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। কার্বারীকে আহতদের চিকিৎসার খরচ চালাতে বলা হয়েছে।

 

রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি সোহেল ইমতিয়াজ বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্র: মানবকণ্ঠ