রাজস্থলীতে অনুমতি ছাড়াই স্কুলের সব গাছ কর্তন

রাজস্থলী প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলায় ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত বাঙ্গালহালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া প্রায় এক লক্ষ টাকার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে  বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা যায়, প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে উক্ত গাছ গুলো খাড়া অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ফ্যাসিলিটিস বিভাগ হতে বিল্ডিং এর অনুমোদন করা হলেও নির্দিষ্ট স্থানে নির্মাণ না করে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি কারসাজি করে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না নিয়ে রাতারাতি গাছগুলো গোপন নিলামের মাধ্যমে কতিপয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যের নিকট বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে।

এলাকার সুশীল সমাজের ব্যক্তি আদুমা মারমা ও পুলক বড়–য়া এ প্রতিবেদককে জানান, বাঙ্গালহালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী উচ্চ বিদ্যালয়। এর সামনে একটি খেলার মাঠ রয়েছে। উক্ত গাছগুলি কেটে ফেলাতে মাঠের সৌন্দর্য্য ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত হবে শিক্ষার্থীরা। অবৈধভাবে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হোসেন জানান, গাছ কাটা বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাকে অবগত করেননি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে একটি চিঠি প্রেরণ করেন। আমি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান বলেন, আমার নিকট একটা অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও রাইখালী রেঞ্জ কর্মকর্তাকে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পত্র প্রেরণ করি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইসুইখই মারমা বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির উপস্থিতিতে একটি রেজুলেশন করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে এগার’শ ছাত্র ছাত্রী আবাসিক সংকলন হওয়াতে সরকার ফ্যাসিলিটিস বিভাগ হতে একটি বিল্ডিং এর অনুমোদন দেন। বিল্ডিংটি নির্মাণ করার স্বার্থে গাছগুলো কেটে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সদস্যের নিকট বিক্রি করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারী নিয়ম নীতি অনুকরণ করতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। তাই আমরা গাছগুলো বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেই।

উল্লেখ্য,  প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই বিদ্যালয়ের রক্ষিত গাছগুলো বিক্রয় করে পরিবেশ সৌন্দর্য্য রক্ষা থেকে বঞ্চিত করেছে। বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্য নষ্ট করেছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

অপরদিকে বনবিভাগ জানান, গাছকাটার বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ অবহিত করেন নাই। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনিকভাবে বিভাগীয় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন