রাজস্থলীতে অপহৃত স্কুল ছাত্র উদ্ধার, আটক-৩

Bandasrban pic-11.3

স্টাফ রিপোর্টার:

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় স্কুল ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগে ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয় অপহৃত স্কুল ছাত্র বিজয় মারমা (৭) কে। সে গাইন্দা বাজারের বাসিন্দা প্রু থোয়াইয়ু মারমার ছেলে। শুক্রবার সকালে রাজস্থলী উপজেলা সদরের গাইন্দা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন, সালাউদ্দিন, রাসেল ও মনোয়ার হোসেন মনু। এ সময় আলম নামে আরও এক অপহরণকারী পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

অপহৃত বিজয়ের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে রাজস্থলী উপজেলা সদরের গাইন্দা ইউনিয়নের ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে যায় বিজয় মারমা। কিন্তু বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সালাউদ্দিন, রাসেল ও মনোয়ার বিজয়কে ঘিড়ে ফেলে। পরে তার মুখে কাপড় দিয়ে অজ্ঞান করে তুলে নিয়ে যায়। বিজয় সারাদিন বাড়ি ফিরে না যাওয়াতে তার পরিবার তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে বিষয়টি রাজস্থলী থানা কর্মকর্তাকে অবহিত করে।

ঘটনার দিন রাতে এলাকায় অপহরণকারী তিনজনকে সন্দেহজনক ভাবে এলাকায় ঘোড়াঘুড়ি করতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায় তাদের কথা। পুলিশ এসে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অপহরণের কথা স্বীকার করে।

পরে তাদের তথ্য সূত্রে সেদিন রাত আড়াইটার দিকে বিদ্যালয় থেকে দূরের বালুমুড়া নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় স্কুল ছাত্র বিজয়কে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় রাজস্থলী থানা পুলিশ।

বিজয় মারমা জানান, তাকে তিনটি লোক অপহরণ করে সারা রাত পাহাড়ে একটি বস্তার উপর শুয়ে রাখে। ভোর রাতে তারা প্রচন্ড মারধর করে এবং বলতে থাকে তোর মাকে শায়েস্তা করতে তোকে অপহরণ করা হয়েছে।

উমানু মার্মা জানান, ছেলেকে সু-চিকিৎসার জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে এনেছেন। হাসপাতালে বিদুৎ থাকলেও ফ্যানটি না চলায় দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের চিকিৎসক প্রবীর চন্দ্র বণিক জানান, শিশুটিকে মারধরের চিহ্ন শরীরে রয়েছে। সে নতুন কাউকে দেখলে আতঙ্কিত হয়ে উঠে।

রাজস্থলী থানার ওসি অহিদুল্লাহ সরকার জানান, ১৫দির আগে তার মা ঐ এলাকায় পাকা ঘর নির্মাণকালে অপহরনকারীরা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। চাদা না পেয়ে বিজয়কে অপহরণ করে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করা হবে।

অভিযুক্তরা হলেন, সালাউদ্দিন- পিতা আলাউদ্দিন গ্রাম. শুক্কুর পুর থানা সন্ধিপ, মো. রাসেল- পিতা মনসুর আলী গ্রাম. ইসলামপুর, মনোয়ার হোসেন ওরফে মনু, ও আলমগীর ওরফে আলম- পিতা ফকর মৌলভী গ্রাম. মাইসছড়া পদুয়া ইউনিয়ন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা। তবে এ ঘটনার সঙ্গে আরও একজনের নাম পাওয়া গেছে। পুলিশ তাকেও ধরার চেষ্টা করছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন