রাজস্থলীতে একদিনে ৭টি কেন্দ্রে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান

fec-image

সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ৭টি টিকা কেন্দ্রে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

 শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে দুর্গম পাহাড়ী এলাকার পূর্ব নির্ধারিত কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্র সমূহে টিকা প্রদান শুরু হয়। উপজেলা প্রশাশন ও রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও ৩ ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে যুব রেড ক্রিসেন্ট রাজস্থলী ইউনিটের স্বেচ্ছাশ্রমে সু শৃঙ্খল পরিবেশে টিকা কেন্দ্র সমুহে মানুষের টিকা গ্রহনের জন্য উপচে পড়া ভীর ছিলো।

রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের করোনার ফোকাল পারসন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুইহলাঅং মারমা জানান, রাজস্থলীতে ৭ টি কেন্দ্রে ২৬ ফেব্রুয়ারী সকাল হতে গণটিকা দান কর্মসূচী শুরু হয়েছে । এ ৭টি কেন্দ্র হলো ১ নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ, ২ নং গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদ, ৩ নং বাঙালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, মাগাইন পাড়া কেন্দ্র, বলি পাড়া কেন্দ্র ও সদর হাসপাতালে দুইটি কেন্দ্রে গন টিকা প্রদান করা হয়।

দুর্গম পাহাড়ী এলাকা সমুহের মাঘাইন পাড়া, বলি পাড়ার অনেকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, টিকা গ্রহনে আমাদের আগ্রহ থাকলেও ইন্টারনেট ও মোবাইল নেট ওয়ার্ক সহ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সদরে গিয়ে টিকা দেওয়া ও রেজিষ্ট্রেশান সম্ভব হয় নাই । গনহারে টিকা প্রদান করে তারা সরকারের এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রুইলাঅং মারমা জানান, উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে কোভিড -১৯ টিকা গ্রহনে উপযোগী ২০ হাজার লোক বসবাস করেন। তন্মধ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কোভিড ১ম ডোজ ৭৬% লোক , ২য় ডোজ ৮৬.১৭% লোক এবং ১২ বছর থেকে ১৮ এর নিচের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ২৭৬০ জন টিকা গ্রহন করেছন। শনিবার সকাল থেকে কোভিড ভ্যাকসিন গ্রহন করেন নাই এমন স্থায়ী বাসিন্দা সহ ভ্রাম্যমান লোক ,সহ প্রায় ২৫০০ জন ও ১২ থেকে ১৮ এর কম বয়সী ছেলে মেয়ে (বিদ্যালয়ে যায় না) ও ছাত্র-ছাত্রী সহ প্রায় ৮০০ জনকে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আশাকরি রাজস্থলী মোট জনসংখ্যার ৮৭% লোক কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে।

এদিকে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শান্তনু কুমার দাশ তিন নং বাঙালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়নে গণটিকা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা, কাদের মেম্বার, শিমুল দাশ,, ছালমা আক্তার, বাপ্পিদেব সহ গন্যমন্যব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিরা এবং রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা গণটিকা কার্যক্রমে সহায়তা করেন বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগের করোনার ফোকাল পারসন ডাঃ রুইহলাঅং মারমা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন