রাজস্থলী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৪০ বছর ধরে গাইনী চিকিৎসক নেই
রাজস্থলী প্রতিনিধি:
রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। এর পর ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি গাইনী চিকিৎসক। বছরের পর বছর পদটি শুন্য থেকেছে। ফলে প্রসুতি সেবা পাচ্ছে না মহিলারা। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০ বচর আগে এ হাসপাতালে উপজেলা সদরের রাজস্থলী আর্মি ক্যাম্পের পাশে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়। নির্মিত হওয়ার পর হাসপাতালটি যেন একটি স্বর্গরাজ্যে পরিনত। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে গাইনী চিকিৎসকের পদটি শুন্য রয়েছে।
এ ছাড়া চিকিৎসকের ১১টি পদের মধ্যে মাত্র আছে ২ জন। ৬ জন সেবক সেবিকার মধ্যে আছেন ৩ জন। স্থানীয় লোকজন জানান, পার্বত্য দুর্গম রাজস্থলীতে বেসরকারীভাবে প্রসুতি সেবা দেওয়ার মত কোন ক্লিনিক গড়ে উঠেনি। বাস্তবে দেখা যায়, কিছু কিছু এনজিও যেমন, আরইস্টেপ, ব্র্যাক স্বাস্থ্য, তারা এ ধরনের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে অনেক প্রসুতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১১ আরই ব্যাটালিয়ানের উদ্যোগে ইতিপূর্বে কয়েকবার প্রসুতি সেবা ধাত্রী প্রশিক্ষন প্রদান করে এ ধরনের চিকিৎসা দেয়ার জন্য কাজ চালিয়ে গিয়েছিলো।
ধাত্রী প্রশিক্ষনে কিছু কিছু ধাত্রী জানান, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষন পাওয়ার পর আমরা গ্রামে গঞ্জে গিয়ে প্রসুতি মায়েদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। ফলে অনেক গর্ভবতি মহিলা সন্তান প্রসবে কোন রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। এ দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনী ডাক্তার না থাকায় প্রসুতি সেবা নিতে মহিলারা ৪০ কিঃমিঃ পথ পাড়ি দিয়ে চট্টগ্রাম ও চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। সন্ধ্যার পর আর কোন গাড়ি না থাকায় রোগীদের অন্যত্র যাওয়া নিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে আলাপকালে জানান, হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ গাইনী চিকিৎসকের পথ সহ ১১টি চিকিৎসা কর্মকর্তার পদ শুন্য রয়েছে। বিশেষ করে গাইনী চিকিৎসক না থাকায় প্রসুতি রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান উথিনসিন মারমা বলেন, প্রসুতি সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে একজন গাইনী চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে তিনি আগামী সমন্বয় সভার মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুলিপি প্রেরণ করবেন বলে জানান।