রামগড়ে বিপজ্জনক মরাগাছ কেটে বিপাকে পাউবো কর্মচারী

fec-image

খাগড়াছড়ির রামগড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস আঙ্গিনার একটি ঝুঁকির্পূণ মরা গাছ কেটে বিপাকে পড়েছেন চর্তুথ শ্রেণির এক কমর্চারী। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২-৩ মাস র্পূবে কেটে ফেলা মরা গাছটি নিয়ে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে মিথ্যা তথ্য প্রচার করায় নাসিরউদ্দিন নামে পাউবোর নৈশপ্রহরী বিপাকে পড়েছেন। ব্যক্তিগত আক্রোশে তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

জানা যায়, রামগড় পাউবোর অফিস এলাকায় আবাসিক কোয়াটারের পাশের একটি মরা করাই গাছ বাসার উপর ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হলে ২-৩ মাস আগে কেটে ফেলা হয়। কাটা গাছের টুকরাগুলোও অফিস আঙ্গিণায় স্তূপ করে রাখা হয়। পাউবোর নৈশপ্রহরী নাসির উদ্দিন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে
শ্রমিক দিয়ে গাছটি কাটেন। ২-৩ মাস আগে কাটা হলেও কয়েকটি অখ্যাত নিউজ পোর্টালে গত ৩-৪ দিন আগে অসত্য তথ্য দিয়ে ওই নৈশ্রহরীর
বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এতে গাছটির মূল্য লক্ষাধিক টাকা এবং ‘স’ মিলে চিরাই করে ওই নৈশ প্রহরীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার তথ্য উল্লেখ
করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কেটে ফেলা মরা গাছটির টুকরার স্তূপ অফিস আঙ্গিণায় পড়ে আছে।

স্থানীয়র জানায়, এরমূল্য ৭-৮ হাজার টাকার বেশি হবে না।

গাছটির পাশের একটি বাসায় বসবাসকারী একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বলেন, মরা গাছটি তার বাসার দিকে বিপজ্জনকভাবে হেলে ছিল । যে কোন সময় বাতাসে গাছটি তার বাসার উপর ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা থাকায় তিনি পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গাছটি কেটে ফেলতে অনুরোধ করেছিলেন।

পাউবোর সীমানা প্রচীরেরও পারের এক বাসিন্দা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ঝুঁকির্পূণ ওই মরাগাছটি কাটার জন্য তিনি নিজেও পাউবোর কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতেই গাছটি কেটে ফেলা হয়।

নৈশপ্রহরী নাসির উদ্দিন বলেন, মরা গাছটি বাসাবাড়ি ও বিদ্যুৎ লাইনের উপর ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হলে ২-৩ মাস আগে কর্মকর্তারা সরেজমিনে দেখে ঝুঁকির্পূণ গাছটি দ্রুত কেটে ফেলার মৌখিত নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে লেবার এনে তিনি গাছটি কেটে টুকরা করে আফিস আঙ্গিনায় স্তূপকারে সংরক্ষণ করে রাখেন।

তিনি বলেন, ব্যক্তিগত আক্রোশের বশিভুত হয়ে গাছ কাটার ২-৩ মাস পর তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, চাকুরিতে ও সামজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যেই এ মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

পাউবো’র এসও দীবাংশু চাকমা বলেন, মরা গাছটি ভেঙ্গে পড়ে যে কারও জীবনহানি এবং বাসাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল বিধায় দ্রুত এটি কেটে ফেলা হয়েছে। কাটা গাছের টুকরাগুলো এখনও অফিস আঙ্গিনায় পড়ে আছে। ২-৩ মাস পর এনিয়ে এভাবে অসত্য তথ্যদিয়ে সংবাদ প্রচার অত্যন্ত দু:খজনক।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন