রামগড় স্থলবন্দরের অবকাঠামোর কাজ শুরু চলতি মাসে

fec-image

খাগড়াছড়ির রামগড়ে স্থলবন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ চলতি মাসেই শুরু হব। স্থলবন্দরটি চালু হলে অনুন্নত পাবর্ত্য জেলার পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অবস্থা পাল্টে যাবে। ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন পথ খুলবে।

শনিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহম্মদ আলমগীর হোসেন রামগড়ে স্থলবন্দরের স্থান সরেজমিনে পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বন্দরের প্রয়োজনীয় ওয়্যার হাউজ, শেড, আইসিপি, কাস্টমস, পুলিশ, বিজিবি চেক পোস্টসহ বিভিন্ন অফিস ও আবাসিক ভবন ইত্যাদির নির্মাণ কাজের ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষ হওয়ার পরই অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

১০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার মেয়াদকাল দুই বছর । তবে এ প্রল্পের বরাদ্দ আরও বাড়তে পারে। বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে এ ব্যয় বহন করবে। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরুর প্রাক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন।

রামগড়-সাবরুম স্থলবন্দর চালু হলে বাংলাদেশ কতটুকু লাভবান হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার ধারণা বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি বেশি হবে। তবে এখান থেকে সিমেন্ট, ইট ও প্লাস্টিক সামগ্রী ইত্যাদি বেশি রপ্তাণি হবে।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ এবং ত্রিপুরাসহ উত্তরপূর্ব রাজ্যের অনেকেই এ স্থলবন্দর ব্যবহার করবে ভ্রমণে।  তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা, কানেকটিভিটি বাড়বে। এছাড়া স্থলবন্দরটি চালু হলে এখানে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়বে, ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। মানুষের কর্মসংস্থান সৃস্টি হবে। সার্বিকভাবে পাবর্ত্য এলাকার জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নতি হবে।

শনিবার দুপুরে রামগড়ের মহামুনিতে স্থালবন্দরের স্থান পরিদর্শনকালে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য প্রশাসন ও অর্থ মো. মোস্তফা কামাল মজুমদার, নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. সরোয়ার হোসেন, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাসান আলী ।

এসময় রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারি, উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে হাবিবা মজুমদার, নবনির্বাচিত পৌরসভা মেয়র মো. রফিকুল আলম কামাল, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামশুজ্জামান প্রমখ উপস্থিত ছিলেন।

স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিনিধিদল রামগড়-সাবরুম সীমান্তে বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সেতুও পরিদর্শন করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন