বাংলাদেশ-মিয়ানমারের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের তাগিদ এফবিসিসিআইয়ের

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত

fec-image

বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছে। ১৯৭১ সালে যে ৫টি দেশ বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়, সেই ৫টি দেশের মধ্যে একটি হল মিয়ানমার। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে মিয়ানমারের আগ্রহের কথাও জানান রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে।

শনিবার (অক্টোবর ১৪, ২০২৩) বেলা ১২ টায় রাজধানীর গুলশানে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে’র সঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম সৌজন্য সাক্ষাতে করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদারের তাগিদ দিয়েছে। এসময় এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি শমী কায়সার ও পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বহুকাল ধরেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য চলে আসছে। একসময় চট্টগ্রাম থেকে নৌ-পথে ইয়াঙ্গুনের সঙ্গে বাণিজ্য হতো। কিন্তু বেশ কিছু কারণে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের হার কিছুটা কমে এসেছে। দুই দেশের সম্ভাবনাময় অনেক খাত থাকলেও সেই সুযোগ আমরা ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছি না।’

রোহিঙ্গা ক্রাইসিসসহ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করলে বাণিজ্যিকভাবে উভয় দেশই লাভবান হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এসময় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান মাহবুবুল আলম। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে মিয়ানমার আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, ‘তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প,সিরামিক,পাট,চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যে বিশ্বব্যাপী দারুণ সুনাম কুঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে। পাশাপাশি চাল, পেঁয়াজ, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্য মিয়ানমার থেকে আমদানি করতে পারে বাংলাদেশ।’ এছাড়া বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এদেশের জ্বালানীর চাহিদা পূরণে মিয়ানমার এগিয়ে আসতে পারে।’

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ, মিয়ানমার, রোহিঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন